এই ধরনের দেউল রয়েছে এখনও তৎকালীন রাঢ়বঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলায়। বর্ধমানে রয়েছে সাতদেউলা, বাঁকুড়ার সোনাতপলের এই রেখা দেউল এবং দেউলঘাট রয়েছে পুরুলিয়ায় ৷ বেশিরভাগ মন্দির আজ ধ্বংসের মুখে। তবে এখনও রেখা দেউলের গায়ে দেখা যায় সূক্ষ্ম কাজ ৷ হাজারো বছরের প্রাচীন এই সূর্য মন্দির এখন সংস্কারের অপেক্ষায়। ওই মন্দির প্রবেশদ্বারের গেট ভেঙে পড়েছে এবং আগাছা জঙ্গলে পরিপূর্ণ হয়েছে এই মন্দির প্রাঙ্গণ। এই মন্দিরটিকে পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারতের জাতীয় সম্পদ হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারের পক্ষ। কিন্তু তারপরও হুশ নেই প্রশাসনের। স্থানীয়দের দাবি, এত পুরানো একটা মন্দির ভেঙে পড়ছে সংস্কারের অভাবে ৷
advertisement
আরও পড়ুনঃ ঘন জঙ্গলে প্রকৃতির মাঝে জিমন্যাসিয়ামে শরীরচর্চা, আসেন স্বাস্থ্যসচেতন মহিলারাও
এই প্রাচীন মন্দিরের সংরক্ষণের কথা জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন জায়গায় জানিও কোনো কাজ হয়নি। এখানে যাতায়াতের রাস্তা পর্যন্ত নেই ৷ একখানা সরু রাস্তা থাকলেও বর্ষাকালে তা পুরোপুরি বেহাল হয়ে পড়ে ৷ মন্দির চত্বর আগাছায় পরিপূর্ণ ৷ মন্দির রক্ষণাবেক্ষণের জন্য একজন গ্রামবাসী নিযুক্ত থাকলেও তাঁর একার পক্ষে এই স্থাপত্যে রক্ষণাবেক্ষণ সম্ভব নয় ৷ এলাকাবাসীর দাবি যদি এখানে একটি পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা যায় তাহলে এই গ্রামের বাসিন্দাদের একটা ভালো পরিবেশ তৈরি হবে এবং কর্মসংস্থানও গড়ে উঠবে।
আরও পড়ুনঃ নোংরা আবর্জনা এবং কচুরিপানা দখল নিয়েছে বাঁকুড়া শহরের পুকুরগুলো
যেখানে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এই মন্দির কে জাতীয় সম্পদ হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়েছে সেখানে এই হাজার বছরের পুরনো সূর্য মন্দির আজ সংস্কারের অভাবে ধ্বংসের মুখে। এই মন্দির যদি প্রশাসনের পক্ষ থেকে সংস্কার করার উদ্যোগ নেওয়া হয় তাহলে মন্দিরের হাল পুনরায় ফিরবে এবং ভ্রমণপিপাসু মানুষের জন্য একটা সুন্দর পর্যটন কেন্দ্র গড়ে উঠবে এই সোনাতপল গ্রামের সূর্য মন্দির। এখন দেখার বিষয় কবে প্রশাসন হস্তক্ষেপ করে এই মন্দির সংস্কারের জন্য।
JOYJIBAN GOSWAMI