ঘরের কিছু বাকি রাখেনি হাতির দল। গত শনিবার সাতসকালে গ্ৰামে দাঁপিয়ে বেড়ালো বুনো হাতির দল। সকালে ঘুম থেকে উঠে বুনো হাতির মুখোমুখি হল বাসিন্দারা। ঘটনাটি ঘটেছে কালচিনি ব্লকের দলসিংপাড়া গোপালবাহাদুর বস্তি এলাকায়। গভীর রাতে দলসিংপাড়া গোপালবাহাদুর বস্তি এলাকায় বক্সা জঙ্গল থেকে বুনো হাতির দল প্রবেশ করে, এলাকায় ব্যাপক তাণ্ডব চালায় এলাকার বাসিন্দাদের ঘর ভেঙ্গে দেয় সুপারি বাগান নষ্ট করে। শনিবার সকাল ওবধি বুনো হাতির দল এলাকায় তাণ্ডব চালায়। বুনো হাতি এলাকার বাসিন্দা দিওয়ান ছেত্রি ঘর ভেঙ্গে দেয় বুনো হাতি।
advertisement
দিওয়ান ছেত্রি জানান বৃদ্ধ বাবা ও মা কে নিয়ে ঘর থেকে পালিয়ে প্রাণ বাঁচিয়েছি। এলাকার বাসিন্দারা জানান তাদের পেশা সুপারি চাষ। পূর্বে তারা ধান,ভুট্টা চাষাবাদ করতেন। কিন্তু এই বুনো হাতির হানায় তারা ধান,ভুট্টা,শাক সবজি চাষাবাদ ছেড়ে সবাই সুপারি চা বাগান কাজ শুরু করেন। কিন্তু বর্তমানে হাতি সুপারি বাগানেও ক্ষয়ক্ষতি করছে। শনিবার সকালে বুনো হাতির দল এলাকার অনেক সুপারি গাছ ভেঙ্গে দিয়েছে। সেপ্টেম্বরের শেষে মাদারিহাটে বুনো হাতির হানা অব্যাহত লক্ষ্য করা যায়। গভীর রাতে জলদাপাড়া জঙ্গল থেকে একটি দাঁতাল হাতি এলাকায় প্রবেশ করে তাণ্ডব চালায়।
আরও পড়ুনঃ কালচিনি ব্লকে গণ রক্ত পরীক্ষার উদ্যোগ নিল ব্লক প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দফতর
এই ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীদের। জলদাপাড়া জঙ্গল থেকে বেরিয়ে লোকালয়ে চলে আসছে বুনো হাতি। গভীর রাতেও একটি দাঁতাল হাতির এলাকায় প্রবেশ করে। জানা যায় হাতিটি দক্ষিণ মাদারিহাট এলাকায় প্রবেশ করে এলাকার এক বিঘা জমির ধান নষ্ট করে। এলাকার বাসিন্দারা ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন বনদফতরের বিরুদ্ধে। তারা জানান প্রতিনিয়ত বুনো হাতি আসছে এলাকায়। হাতি এসে জমির ফসল নষ্ট করছে। বনদফতরে ফোন করলেই জানানো হয় তারা অন্যত্র টহল দিচ্ছেন।
আরও পড়ুনঃ কালচিনিতে ঝোরার জলে ডুবে মৃত্যু এক যুবকের
এলাকাবাসীরা নিজেরাই দু'ঘন্টা চেষ্টা করে হাতি তাড়িয়েছেন। ফের হাতির হানার ঘটনা বাড়ছে মাদারিহাটে। গত অগাস্ট মাসের প্রথমের দিকে এক গভীর রাতে মাদারিহাট এলাকায় বুনো হাতি হানা দিয়ে এলাকার বাসিন্দা নিতাই চন্দ্র বিশ্বাসের রান্না ঘর ভেঙ্গে দেয়।রেশন সামগ্রী সাবার করে চলে যায়। হাতির হানা ঘটনা ঘটছে মাদারিহাটে লাগাতার। হাতির হানায় আতঙ্কিত মাদারিহাট বাসীরা। এদিকে বনদফতরের পক্ষ থেকে বিষয়গুলি এড়িয়ে যাওয়ার অভিযোগ এলাকাবাসীদের।
Annanya Dey