কোচবিহার রাসমেলায় রাস মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের আলিপুরদুয়ার জংশন বিভাগের বিভাগীয় প্রবন্ধ দিলীপ কুমার সিং। তিনি জানান, খুব শীঘ্রই ভিস্তাডোম টুরিস্ট এক্সপ্রেস ট্রেন নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে আলিপুরদুয়ার জংশন স্টেশনের পরবর্তীতে নিউ কোচবিহার স্টেশন পর্যন্ত চালানোর পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ উদ্দেশ্যহীনভাবে ঘুরছিল এই যুবক! জিজ্ঞাসাবাদে যা মিলল পুলিশের চক্ষু চড়কগাছ
advertisement
কোভিড পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর ডুয়ার্স মুখী বহু দেশি বিদেশি পর্যটক। আর তাতেই নতুন চালু হওয়া টুরিস্ট স্পেশ্যাল ভিস্তাডোমের টিকিটের জন্য রেলের দুয়ারে লম্বা লাইন লক্ষ্য করা যায়। রীতিমতো ওয়েটিং লিস্ট তৈরি করে এই ট্রেনের টিকিট বিক্রি করতে হচ্ছে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলকে। ৪৪ আসনের বুকিংয়ের জন্য কয়েকশো মানুষকে ওয়েটিং লিস্টে থাকতে হচ্ছে। এই ট্রেনের জনপ্রিয়তা দেখে ইতিমধ্যেই সপ্তাহে দু'দিন চালানোর পরিবর্তে ১ অক্টোবর থেকে এই ট্রেনটিকে দৈনিক করে দিয়েছে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল।
আরও পড়ুনঃ রাজস্থানে ভরপুর রোম্যান্স! রঙিন শোভনকে লেন্সবন্দি করলেন বৈশাখী, তোলপাড় নেটদুনিয়া
বর্তমানে প্রতিটি পর্যটক ভিস্তাডোমে ভ্রমণের অভিজ্ঞতা অর্জন করতে চাইছেন। নিউ জলপাইগুড়ি থেকে আলিপুরদুয়ার জংশন পর্যন্ত ভিস্তাডোমের এই বিশেষ ট্রেনে ইঞ্জিনের সঙ্গে দুটি এসি চেয়ারকার, দুটি নন এসি চেয়ারকার এবং একটি ভিস্তাডোম কোচ থাকছে। ৮৪০ টাকা খরচ করেই পর্যটকেরা উপভোগ করতে পারবেন জঙ্গল পাহাড় এবং পাহাড়ি নদীর ৩৬০ ডিগ্রি ভিউ। পাশাপাশি থাকছে ভারতীয় রেলের বিলাসবহুল পরিষেবা।
সম্পূর্ণ ডিজিটাল দরজা, থ্রি সিক্সটি ডিগ্রী রিভলভিং চেয়ার, আর চারপাশ কাঁচ দিয়ে ঘেরা তারই মাঝখান চেয়ারে বসে ডুয়ার্সের মনোরম পরিবেশের পরিষ্কার দৃশ্য। এনজিপি থেকে আলিপুরদুয়ার জংশন পর্যন্ত ১৬৫ কিলোমিটার পথ পর্যটকদের কাছে অনেকটা স্বপ্নকে ছুঁয়ে দেখার মতো।দীর্ঘ এই যাত্রায় মাঝখানে পড়ছে মহানন্দা, গরুমারা, জলদাপাড়া এবং বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের মত জঙ্গল। আর রয়েছে পাহাড় এবং সবুজ গালিচার মত চা বাগান। আর প্রকৃতির এই অপরূপ দৃশ্যই পর্যটকরা উপভোগ করতে পারবেন এই ভিস্তাডোম কোচে বসে।
আগেই জানা গিয়েছিল দেশ–বিদেশের পর্যটকদের এই ভিড় ও আগ্রহ দেখে এই ট্রেনটির রুট সম্প্রসারণ করার কথা ভাবা হয়েছে। ভিস্তাডোম ট্যুরিস্ট স্পেশাল ট্রেনটিকে আলিপুরদুয়ার জংশন থেকে নিউ কোচবিহার স্টেশন পর্যন্ত সম্প্রসারিত করার জন্য রেল বোর্ডে প্রস্তাব পাঠিয়েছে উত্তর–পূর্ব সীমান্ত রেল কর্তৃপক্ষ।
Annanya Dey