এই বনবস্তির প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকদের প্রত্যেককে ১৫ লক্ষ টাকা করে আর্থিক প্যাকেজ দেওয়ারও কথা হয়। গাঙ্গুটিয়া বনবস্তির বাসিন্দারা জানান চার বছর আগে বনদফতরে থেকে জানানো হয় বক্সা জঙ্গলে বাঘ ছাড়া হবে এবং বাসিন্দাদের গ্ৰাম ছেড়ে অন্যত্র চলে যেতে হবে এবং বাসিন্দাদের আর্থিক প্যাকেজ দেওয়া হবে। গাঙ্গুটিয়া বনবস্তি সমস্ত বাসিন্দারা এই শর্তে রাজি হয় এবং তারা লিখিত ভাবে ইতিমধ্যে বনদফতরকে জানিয়ে দেয় তারা অন্যত্র যেতে ইচ্ছুক কিন্ত দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও এই বনবস্তির বাসিন্দাদের অন্যত্র সরানোর কাজ শুরু হয়নি, মেলেনি আর্থিক প্যাকেজ ।
advertisement
বাসিন্দারা জানান, গাঙ্গুটিয়া বনবস্তির অধিকাংশ বাসিন্দা কৃষিজীবী । গ্ৰামের পাশ দিয়ে বয়ে গিয়েছে খরস্রোতা গাঙ্গুটিয়া নদী । এই গাঙ্গুটিয়া নদীর ভাঙনে ইতিমধ্যে বস্তির অধিকাংশ জমি নদী গর্ভে চলে গিয়েছে। এমনকি অনেকের ঘর নদী গর্ভে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। বাসিন্দারা আরও জানান গ্ৰামে প্রবেশের সড়ক খারাপ। একে তো ভাঙনের সমস্যা, উপরদিকে গ্ৰামে কোনও উন্নয়নের কাজ হচ্ছে না-এই বিষয়ে বিভিন্ন দফতরে আবেদন করলে জানানো হয় শীঘ্র এই গ্ৰামের বাসিন্দাদের অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হবে ।
আরও পড়ুন : প্রতিকূলতা পাড়ি দিয়ে উচ্চ মাধ্যমিকের মেধাতালিকায় প্রত্যন্ত পরিবারের দুই ছাত্র, খুশির জোয়ার নামখানায়
কিন্তু গ্ৰামবাসীদের প্রশ্ন কবে আর্থিক প্যাকেজ মিলবে? দীর্ঘ চার বছর হল ।গাঙ্গুটিয়া বনবস্তি বাসিন্দারা জানান গ্ৰামে কোনও উন্নয়ন নেই। ভাঙনে ভিটেমাটি সব যাওয়ার উপক্রম। আর্থিক প্যাকেজ কবে মিলবে তার কোনও নিশ্চয়তা নেই। বর্তমানে দুশ্চিন্তায় তাঁরা । বাসিন্দারা আরও জানান বর্তমানে এমন অবস্থা এসেছে যে গ্ৰাম ছেড়ে অন্যত্র চলে যাওয়ার উপক্রম হয়ে এসেছে। শীঘ্র আর্থিক প্যাকেজ প্রদান করার দাবি জানিয়েছে বাসিন্দারা । এই আর্থিক প্যাকেজ না পাওয়ায় গ্ৰামের কয়েকজন যুবতী বিয়ে অবধি আটকে রয়েছে।ইতিমধ্যে গ্ৰামে বন প্রতিমন্ত্রী থেকে শুরু করে বনদফতরের একাধিক আধিকারিকেরা এসেছে গ্ৰামবাসীদের আশ্বাস দিয়েছেন।শীঘ্র আর্থিক প্যাকেজ দিয়ে অন্যত্র স্থানান্তরিত করা হবে। কিন্ত এখনও বনদফতরে থেকে গ্ৰামবাসীদের জানানো হয়নি কবে মিলবে সেই প্যাকেজ ।