একটি ওয়েবসাইট ভুল হতে পারে কিন্তু অন্যান্য ওয়েবসাইটগুলিতেও একই রেজাল্ট দেখে ক্ষোভে ফেটে পরে পরীক্ষার্থীরা। স্কুলে গিয়েও কোনও লাভ হয়নি তাই রাস্তা অবরোধের পথ খুঁজে নেন তারা। কামাখ্যাগুড়ি বালিকা বিদ্যালয়ের এক পরীক্ষার্থী জানান,\"করোনা পরিস্থিতি কাটিয়ে স্কুল খুলেই উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা নেওয়া হয়।পড়াশুনোর সময় মেলেনি।তবুও কিছুটা প্রস্তুতি নিয়েছিলাম।স্কুল থেকে আশ্বাস মিলেছিল পাশ হয়ে যাওয়ার।তারপর ফেল করিয়ে দিল।মিথ্যে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল আমাদের।\"
advertisement
আরও পড়ুনঃ পৃথক গ্রাম পঞ্চায়েতের দাবিতে সরব নিমতিঝোড়া ও নিমতি দোমহনী এলাকার মানুষেরা
এদিকে কামাখ্যাগুড়ি বালিকা বিদ্যালয় ও কামাখ্যাগুড়ি হাই স্কুলের শিক্ষকদের সঙ্গে এবিষয়টি নিয়ে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান, আগামী সোমবার পরীক্ষার্থীদের লিস্ট আসবে।তখন বোঝা যাবে অনুত্তীর্ন পরীক্ষার্থীদের সংখ্যা ঠিক কত। এরপর খাতা রিভিউ পাঠানোর চিন্তাভাবনা করা হবে। করোনার কারণে স্কুল কলেজের সব পরীক্ষা অনলাইনে হওয়ায় অফলাইনে পরীক্ষা দেওয়া ভয়ের কারণ পরীক্ষার্থীদের কাছে। যার জন্য বাড়ছে পরীক্ষার্থীদের অনুত্তীর্ন হওয়ার সংখ্যা। সারাবছর পড়াশুনো করার অভ্যাস চলে গিয়েছে পড়ুয়াদের বলে মত জনসাধারণের। অনেকে আবার অনলাইন ক্লাসের নামে মোবাইল ফোনের অতিরিক্ত ব্যবহারকে দোষ দিয়েছেন এই ঘটনার জন্য।
আরও পড়ুনঃ মাদারিহাটের ভুট্টা ক্ষেতে তাণ্ডব চালাল ৪০টি বুনো হাতির দল
অথচ আলিপুরদুয়ার জেলার প্রত্যন্ত এলাকা শিলবাড়িহাট থেকে উচ্চমাধ্যমিকে রাজ্যে ষষ্ঠ স্থান অধিকার করেছে এক দুস্থ পরিবারের সন্তান। কলাবিভাগ থেকে এমন ফল করে প্রশংসা কুড়িয়েছে রাজ্যে ষষ্ঠ বর্ষা পারভিন। এই জেলাতেই অপর এক প্রান্ত কামাখ্যাগুড়ির এমন খারাপ ফল আশা করতে পারছেনা শিক্ষক মহল। বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত চলে অবরোধ। এরপর ঘটনাস্থলে আসে কামাখ্যাগুড়ি ফাঁড়ির পুলিশ। প্রথমে পুলিশের কথা শুনতে চাইছিল না অনুত্তীর্ন পরীক্ষার্থীরা। পরবর্তীতে অত্যন্ত বিনয়ী ভূমিকায় দেখা যায় পুলিশকে। পড়ুয়াদের অনেক বুঝিয়ে পথ অবরোধ তুলতে সক্ষম হয় পুলিশ।
Ananya Dey