২০১১ সালে রাজ্যে ক্ষমতার পরিবর্তনের পর থেকে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে বনবস্তির বাসিন্দাদের অর্থনৈতিক ভাবে স্বনির্ভর করার লক্ষ্যে বক্সায় প্রচুর পরিমাণে হোমস্টে তৈরিতে উৎসাহিত করা হয়। হোমস্টে তৈরি হওয়ার জন্য একদিকে যেমন জঙ্গল ও বন্যপ্রাণের উপর মানুষের চাপ কমে যায়, অন্যদিক দিয়ে চাঙ্গা হয়ে ওঠে এলাকার অর্থনীতি। তবে কোভিডের কারণে একেবারেই মুখথুবড়ে পড়ে পর্যটনের ব্যবসা। সেই চাপ কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই পরিবেশবিদ সুভাষ দত্তের করা একটি মামলার রায়ে চলতি বছরের ৩০ মে পরিবেশ আদালত পত্রপাঠ জানিয়ে দেয় বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের অন্দরে হোটেল, রিসর্ট তো দূরের কথা, সেখানে কোনো রকম বানিজ্যিক কাজ চলবে না।
advertisement
আরও পড়ুনঃ রেশনে দেওয়া হয়েছে নিম্নমানের খাদ্য সামগ্রী! খাদ্য সরবরাহ দফতরে শ্রমিকদের বিক্ষোভ
নির্দেশে এও স্পষ্ট করে বলা হয় যে, ওই নির্দেশ কার্যকর করতে গিয়ে রাজ্য বনদপ্তর ঠিক কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে তা তিন মাসের মধ্যে হলফনামা দিয়ে পরিবেশ আদালতকে জানাতে বাধ্য থাকবেন রাজ্যের বন্যপ্রাণ শাখার প্রধান মুখ্য বনপাল। বনজীবী-শ্রমজীবী মঞ্চের আহ্বায়ক লাল সিং ভুজেল বলেন আমাদের তো এখন সবই শেষ। বনবস্তি বাসীর অধিকার ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। আমরা কোর্টে দ্বারস্থ হব। আলিপুরদুয়ারে এসে শণিবার রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন \"পরিবেশ আদালত যে রায় দিয়েছে, তা পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়ে পরিবেশ আদালতের দ্বারস্থ হবে রাজ্য সরকার। তিনি জানান বনদফতর যদি জমি চায় আমরা জমি দিতে রাজি আছি।
আরও পড়ুনঃ মারুনি শিল্পীদের নিয়ে কর্মশালার আয়োজন রাজাভাতখাওয়াতে
বনমন্ত্রী জানান এত লোকের জীবিকা নষ্ট করা যাবে না। প্রয়োজনে আমরা আমাদের রেঞ্জ কমিয়ে দেবো। আমরা এই মামলায় অংশগ্রহণ করছি।\" তবে উচ্ছেদের আশঙ্কার মধ্যে সামান্য হলেও আশার আলো যুগিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চের একটি রায়।ওই রায়ে আপাতত ছয় সপ্তাহের জন্য পরিবেশ আদালতের রায়ের উপর স্থগিতাদেশ জারি করা হয়েছে।
Annanya Dey






