এলাকাবাসীরা জানান, 'বছরের পর বছর একই পরিস্থিতি এই পাঁচমোড় এলাকার, সামনেই লতাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস ও কালচিনি বিডিও অফিস। কেউই কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করছে না।মাঝে বিধায়ক এসেও দেখে গিয়েছিল, বলেছিল নর্দমা তৈরি করা হবে, তাও হয়নি।' অন্যদিকে, হ্যামিল্টনগঞ্জে স্থিত দমকল বিভাগের অফিসও জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। নর্দমার সব জল সেখানে প্ৰবেশ করছে। এ বিষয়ে লতাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সোনালী দাস জানান, 'পাঁচমোড় এলাকার বিষয়টি আমাদের নজরে রয়েছে। তবে সেখানে কোনো নর্দমা বা কালভার্ট করার মতো ফান্ড আমাদের কাছে নেই আমরা এ নিয়ে বিডিওকে জানিয়েছিলাম আজ আবারও কথা বলবো।'
advertisement
আরও পড়ুনঃ নদী না সড়ক! জয়গাঁয় ভুটানগামী রাস্তার বেহাল দশা
এছাড়াও তিনি জানান, 'দমকল বিভাগের অফিসের সামনে রাস্তা উঁচু সেজন্য সেখানে জল ঢুকছে। সেই সমস্যা সমাধানেরও চেষ্টা করছি। তাছাড়া হ্যামিল্টনগঞ্জের অনেক দোকানদার নর্দমার ওপর নিজের দোকান নিয়ে এসেছেন,তাই নর্দমা পরিষ্কার করা যাচ্ছে না।' কালচিনি বিডিও ছুটিতে থাকায় তার পরিবর্তে জয়েন্ট বিডিও নজমুল হক জানান, 'আমরা এই বিষয়ে গ্রাম পঞ্চায়েতের সাথে কথা বলে, সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করবো।'
আরও পড়ুনঃ দুর্ঘটনার কবলে দুটি পণ্যবাহী গাড়ি! হতাহতের খবর নেই
অন্যদিকে, কালচিনি বিধায়ক বিশাল লামা জানান, 'আমি আমার তহবিলের টাকা দিয়ে নর্দমা বানাতে চাচ্ছি, তবে এ বিষয়ে বিডিওকে জানানো সত্ত্বেও তিনি এখনও আমার সাথে যোগাযোগ করেনি।' অপরদিকে প্রবল বৃষ্টিতে ফের ক্ষতিগ্রস্ত কালচিনি ব্লকের রাজাভাত চা বাগানের কোঠি লাইন এলাকা। প্রবল বৃষ্টিতে নদীর রূপ নিতে শুরু করেছে নর্দমা। সেই জলেই ভেসে গিয়েছে একটি বাড়ির অধিকাংশ। এর আগেও সম্প্রতি বৃষ্টিতে একই অবস্থা হয়েছিল এই এলাকার, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল এই একই বাড়ি। পরিস্থিতি বুঝতে পেরে আগেই বাড়ি ছেড়েছেন বাড়ির সদস্যরা।
আরও পড়ুনঃ হোম স্টে-র মালিকদের পাশে দাঁড়াল রাজ্য
বাগান কর্তৃপক্ষের বক্তব্য প্রশাসনের তরফে সঠিকভাবে কাজ হয়নি, তাই এই পরিস্থিতি। তাদের দাবি, 'এ বছরের বৃষ্টিতে বাগানের ৬ হেক্টর জমি নর্দমার জলে ভেসে গিয়েছে।' অন্যদিকে, স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান বিন্দিয়া লামা জানান, 'জরুরি অবস্থায় সেখানে গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে জল আটকাবার জন্য বাঁধ দেওয়ার কাজ হয়েছে।তবে, স্থায়ী সমাধানের জন্য ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষকে জানিয়েছি, সেখান থেকে এখনও নির্দেশ আসেনি। আজ আবারও এ বিষয়ে তাদের জানাবো।'
Annanya Dey






