শামুকতলার তালেশ্বরগুড়িতে বাইক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় সুজনের। দীপঙ্কর বর্মন আশঙ্কাজনক অবস্থায় নার্সিংহোমে ভর্তি। শামুকতলা এলাকার বড় চৌকিরবস এলাকার বাসিন্দা সুজন মাহাত। পাশের ছোট চৌকিরবস এলাকায় বাড়ি দীপঙ্কর বর্মনের। বুধবার রাত ১১ টা নাগাদ বাইকে চেপে আলিপুরদুয়ার থেকে কাজ সেড়ে বাড়ি ফিরছিলেন তাঁরা। ওই সময় জাতীয় সড়ক পুরো কুয়াশর চাদরে ঢাকা ছিল। ফলে রাস্তা বিশেষ দেখা যাচ্ছিল না। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তালেশ্বরগুড়ি চৌপথি সংলগ্ন এলাকায় কুয়াশার কারণেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তাঁদের বাইক সজোরে ধাক্কা দেয় রাস্তার পাশে থাকা একটি গাছকে। বাইক থেকে ছিটকে পড়েন সুজন ও দীপঙ্কর। ঘটনাস্থলে দু'জনেই সংজ্ঞা হারান।
advertisement
আরও পড়ুন: পঞ্চায়েতের আগে উত্তেজনাপ্রবণ এলাকায় পুলিশের যৌথ টহলদারি
স্থানীয় বাসিন্দারা গাছে বাইকের ধাক্কা মারার বিকট শব্দ শুনে বাইরে বেরিয়ে আসেন। তাঁরা ঘটনাস্থলে এসে দেখেন রাস্তার ধারে বাইক নিয়ে দু'জন রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেন। দ্রুত পুলিশ এসে ওই দু'জনকে উদ্ধার করে স্থানীয় যশোডাঙা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায়। চিকিৎসকরা সুজন মাহাতকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। অন্যদিকে দীপঙ্কর বর্মনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাঁকে কোচবিহারের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয়। আশংকা জনক অবস্থায় সেখানেই চিকিৎসা চলছে তাঁর। এলাকার মানুষের কাছ থেকে জানা গিয়েছে, মৃত সুজন পেশায় গাড়ি চালক। তাঁর বন্ধু দীপঙ্কর মহাকালগুড়ি পঞ্চায়েতের নতুন বাজারে ব্যবসা করেন।
সুজনের মৃত্যুর খবর পেয়েই শোকের ছায়া নেমে আসে এলাকায়। পুলিশ মৃত দেহ ময়নাতদন্তের জন্য আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে পাঠিয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে বাইকটিকে। একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, দু'জনের মাথতেই হেলমেট ছিল না। পুলিশের দাবি, মাথায় হেলমেট থাকলে হয়ত বড় দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হত।
অনন্যা দে






