যারা ভিনরাজ্যে চলে গিয়েছেন কাজে তাদের হাতে গুনে বছরে দুবার বাগানে ফিরতে দেখা যায়। আর যারা যাননি তারা এলাকায় সবজির দোকান সহ অন্যান্য দোকান নিয়ে বসেন। নয়া প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা জানিয়েছেন, তারা নিজেরাও শ্রমিকের পেশায় যোগ দেবেন না। এমনকি তাদের সন্তানদের এই পেশা থেকে দুরে রাখবেন। কারণ চা শ্রমিকরা বরাবর অভাব ছাড়া কিছু দেখেনি। নুন আনতে পান্তা ফুরোনোর সংসারে পড়াশুনোটুকু হয়ে ওঠেনি। বর্তমানে শিক্ষার প্রয়োজনিয়তা বিভিন্ন ক্ষেত্রে। তাই আগামী প্রজন্মকে শিক্ষিত রাখতে চাইলে এই পেশা বর্জন করতে হবে বলে জানান তারা।
advertisement
আরও পড়ুনঃ আখ চাষ করে মুখে হাসি! লাভের মুখ দেখছেন জেলার কৃষকেরা
চা বাগান মালিকদের শোষণের কারণে দুঃখ, দুর্দশা দুর হচ্ছে না চা শ্রমিকদের জীবন থেকে। এই কথা জানালেন চা বাগান বিশেষজ্ঞ বিকাশ মাহালি। তার মতে চা বাগানের নয়া প্রজন্ম আর শ্রমিকের কাজ করবে না। তারা হাটে হাটে সবজি বেচবে। কিন্তু চা শ্রমিকের কাজে যোগদান দেবে না। বর্তমানে চা বাগানগুলি চিকিৎসা পরিষেবা থেকে বঞ্চিত। চা শ্রমিকদের ঘর ভেঙে গেলে ঠিক হয়না।
আরও পড়ুনঃ ফের নকল মদের হদিস কালচিনির ভার্নোবাড়ি চা বাগানে, গ্রেফতার এক
দৈনিক মজুরিতে যে টাকা মেলে চা শ্রমিকদের তা দিয়ে সংসার চলে না। মুল্যবৃদ্ধির বাজারে এভাবে জীবনযাপন সম্ভব না দেখে,মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন তারা। এরপর এই শিল্পের ভবিষ্যৎ কী? তা বুঝে উঠতে পারছেন না বিশেষঞ্জরা। মালিকপক্ষ যদি শ্রমিকদের দুর্দশা না বোঝে, তবে এই শিল্প মরে যাবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন চা বিশেষজ্ঞরা।
Annanya Dey