তাদের কথায়, গত দুবছরের তুলনায় এবছর মূর্তির বায়নাও ভালো হয়েছে। পুজোর আগেই কোনো প্রতিমাই অবশিষ্ট নেই। সব প্রতিমা বিক্রি হয়ে গিয়েছে। গত দুবছর করোনার কারনে এক প্রকার দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছিল মৃৎ শিল্পীদের। একে মূর্তির বায়না কম ছিল, অন্যদিকে, মূর্তি বায়না হলেও ভালো দাম তারা পেতেন না বলে দাবি তাদের।
advertisement
আরও পড়ুনঃ হাতির হানায় আতঙ্কিত গোপালবাহাদুরবস্তি এলাকার বাসিন্দারা
তবে এবছর অনেকটাই পরিস্থিতি পাল্টাচ্ছে। আশানুরূপ মূর্তি বিক্রি করতে পেরে, দীর্ঘ সময় পর মুখে হাসি ফুটেছে মৃৎ শিল্পীদের মুখে। দুর্গা পুজো শেষে বর্তমানে লক্ষী প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ। অনেকে কারখানা থেকে প্রতিমা নিচ্ছেন। আবার দোকানের ব্যবসায়ীরা বিক্রির উদ্দেশ্যে লক্ষ্মী প্রতিমা কিনছেন তাদের থেকে। এবিষয়ে এক মৃৎ শিল্পী গোপাল পাল জানান, 'এমনিতে প্রতিবছর ৪০ টির মত প্রতিমা আমরা তৈরি করি। তবে করোনা সময়কালে বায়না খুব কম ছিল তাই ২৮ মত প্রতিমা তৈরি করেছিলাম।
আরও পড়ুনঃ কালো জগতের আলো, এই থিমেই মজেছে আলিপুরদুয়ারের দত্তপাড়া
তার মধ্যে ৪ থেকে ৫ টা প্রতিমা বেঁচে গিয়েছিল। তবে এবছর তা হয়নি বায়নাও ভালো ছিল এবং প্রতিমাও সব বিক্রি হয়ে গিয়েছে।' জেলার হ্যামিল্টনগঞ্জের অপর এক মৃৎ শিল্পী জানান, 'গত দুবছর প্রায় ১০ টির মত প্রতিমা বিক্রি হয়নি। তবে এবছর ৬১ টা মূর্তি বানিয়েছিলাম সব মূর্তি বিক্রি হয়ে গিয়েছে।'
Annanya Dey