আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হওয়ার ভয় দেখিয়ে আড়াই লক্ষ টাকা প্রতারণা!
কথাতেই আছে মাছে-ভাতে বাঙালি। আবার নদীর পাড়ে যারা বসবাস করেন তাঁরা মাছ খাওয়ার পাশাপাশি নদী থেকে সেই মাছ ধরে বাজারে বিক্রি করে দুটো পয়সা রোজগারও করেন। তবে মাছের স্বাদ এখন অন্যান্য জাতির মানুষও গ্রহণ করছে। আর এই বর্ষাকালে নদীতে আরও বেশি মাছের আমদানি ঘটতে দেখা যায়। বৃষ্টি শুরু হতেই উত্তরবঙ্গের অন্যান্য নদীর মতো আলিপুরদুয়ারের বাসরা নদীতেও দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন নদীয়ালি মাছ।
advertisement
এই এলাকার মানুষের অত্যন্ত পছন্দের মাছ হল বোরলি। এছাড়াও এই সময় নদীতে পাওয়া যাচ্ছে কাজলি, পুঁটি, ট্যাংড়া, দাড়কা সহ আরও অনেক মাছ। নদীর এই সুস্বাদু মাছের ভালো দাম আছে বাজারে। কেজি প্রতি হাজার-দু’হাজার টাকায় বিক্রি হয়। ফলে বর্ষার সময় নদী থেকে এইসব মাছ ধরে দুটো বেশি পয়সা রোজগার করার সুযোগ পান এখানকার দরিদ্র। আর তাই এখন সারারাত নদীতে জাল দিয়ে বসে থাকতে দেখা যাচ্ছে অনেককে। এই ছবি দেখা যাচ্ছে কালচিনির গুদামডাবরি, সাঁতালি মেন্দাবাড়ি সহ একাধিক জায়গায়। নদীর তীরবর্তী বনবস্তি এলাকার এলাকাবাসীরা জাল ফেলে পাচ্ছেন ২ থেকে ৩ কেজি করে মাছ। অনেকে আবার দশ কেজি মাছও পেয়েছেন। লুকাশ মুন্ডা নামের এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, আমাদের জীবিকা মাছ ধরা নয়। আমরা অন্য কাজ করি। কিন্তু বৃষ্টির কারণে যেতে পারছি না বাইরে। তাই মাছ ধরে আয় করছি।
অনন্যা দে