পণ্যবাহী ট্রেন সফলভাবে চললে ওই তিনটি রুটে যাত্রীবাহী ট্রেন চালানোর পরিকল্পনাও নিয়েছে রেল। অদূর ভবিষ্যতে সড়কপথ ছাড়াও দুই দেশের নাগরিক ও পর্যটকরাও ওই আন্তর্জাতিক রেল পথ ব্যবহার করে দুই দেশের মধ্যে যাতায়াত করতে পারবেন।
প্রথমে অসমের কোকড়াঝাঁর থেকে ভুটানের গ্যালিফু পর্যন্ত ৪৮ কিলোমিটার রেলপথ পাতার কাজ শুরু করা হবে। তার প্রাথমিক সমীক্ষার কাজ শেষ স্তরে পৌঁছেছে বলে জানান উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের রেলওয়ে ম্যানেজার দিলীপ কুমার সিং।
advertisement
আরও পড়ুন - Murshidabad News: মাঠে ফিরুক নতুনরা, বিডিও নিজে নামলেন মাঠে, ফুটবলারদের দিলেন সাম্মানিক আরও অনেক কিছু...
রেলসূত্রে জানা গিয়েছে,পরবর্তীতে হাসিমারা থেকে ভুটানের ফুন্টসোলিং পর্যন্ত রেলপথ পাতার পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়াও অসমের কোকড়াঝাঁর থেকে ভুটানের সামদ্রুপজংখা পর্যন্ত রেল রুট তৈরি করারও পরিকল্পনা রয়েছে রেলের। দুদেশের বানিজ্যিক এবং পারস্পরিক সম্পর্কের উন্নয়ন হবে রেলপথ তৈরি হলে। পাশাপাশি সামরিক দিক থেকেও এই রেল পথের গুরুত্ব অনেকটাই বেড়ে যাবে।কার্যত উত্তর পূর্বের রাজ্য গুলির সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার আশঙ্কা অনেকটাই কমে যাবে এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
আরও পড়ুন - Healthy Lifestyle: ওজন কমানোর কথা ভাবছেন, ‘এই’ কম্বিনেশনের খাবার খেয়ে সর্বনাশ ডেকে আনছেন না তো
ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি রুটেই ভারত-বাংলাদেশ ট্রেন চলাচল হচ্ছে। নেপালের সঙ্গেও সম্প্রতি ফের চালু হয়েছে রেল চলাচল।প্রসঙ্গত, দীর্ঘ ২ বছর বন্ধ থাকার পর আবারও ২৯ মে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে যাত্রীবাহী ট্রেন ‘বন্ধন এক্সপ্রেস’ চলাচল শুরু করেছে। বিগত দুবছর মহামারীর কারণে বন্ধন ও মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনদুটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।
মোট পাঁচটি রুটে ভারত-ভুটান ট্রেন চলাচলের চুক্তি হয়েছিল ২০০৫ সালে। তবে এত বছরেও একটি রুটেও ট্রেন চলাচল শুরু করা সম্ভব হয়নি। তবে শেষ পর্যন্ত এবার কোকড়াঝাঁর থেকে ভুটানের গ্যালিফুর রেল লাইন পাতার কাজ শুরু হতে চলেছে।
কোকড়াঝাঁর থেকে ভুটানের গ্যালিফু পর্যন্ত যে রেল লাইন পাতা হবে তা সমতল ও পাহাড়ি এলাকার মধ্যে দিয়ে যাবে। ভারতের অংশে রেললাইনটি সমতলে পাতা হবে। সীমান্ত পার করে ভুটানের দিকে এই রেল লাইন পাহাড়ি এলাকা দিয়ে যাবে। গোটা পথেই ব্রডগেজ রেল পাতা হবে। এই প্রকল্পের জন্য প্রাথমিক ভাবে এক হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।এরপর সেই বরাদ্দ আরও বাড়ানো হতে পারে।
Annanya Dey