এদিন দক্ষিণ খয়েরবাড়িতে রাজা কে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে উপস্থিত ছিল জলদাপাড়া ডি এফ ও দীপক এম, আলিপুরদুয়ার জেলাশাসক সুরেন্দ্র কুমার মিনা। বন সূত্রে জানা যায়, বাঘের আয়ু সাধারণত ১৮-২০ বছর। তবে সুন্দরবনের রাজা নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে ২৫ বছর অবদি জীবিত থেকে। মেজাজের দিক থেকেও রাজা ছিল রয়্যাল। তার চাহনি,লোহার গারদ কাঁপা গর্জন ঘুম কেড়ে নিত বনকর্মীদের। লোহার গারদের সামনে বনকর্মীদের কথাবার্তা খুব একটা পছন্দ করত না রাজা বলে জানা যায়, নিরিবিলি পরিবেশ ছিল তার প্রিয়।
advertisement
আরও পড়ুনঃ খারাপ পাম্পসেট! জিৎপুরে সেচের অভাবে মার খাচ্ছে কৃষিকাজ
খাওয়াদাওয়াতে দেখা যেত রাজকীয়তা। বৃহস্পতিবার বাদে সপ্তাহের বাকি দিনগুলো রাজার খাবারের তালিকায় থাকে দশ কেজি মাংস। জলের সাথে গ্লুকোজ, ওআরএস মিশিয়ে দেওয়া হত রাজাকে। এদিকে স্নান না সারলে রাজার ঘুমও হত না বলেও জানা যায়। রাজার মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছেন তার লোহার গারদের সামনে পাহারারত বনকর্মীরা। আজ থেকে লোহার গারদটি ফাঁকা থাকবে বলে মন খারাপ তাদের। রাজার মৃতদেহের প্রতি শেষ সম্মান জানিয়েছেন সকল বনকর্মীরা।
আরও পড়ুনঃ যন্ত্রের মাধ্যমে দক্ষিণ লতাবাড়িতে ধানের চারা রোপন, বাড়বে ফলনও
মহঃ মজনু নামের বনকর্মী জানান,রাজাকে যখন দক্ষিণ খয়েরবাড়ি বাঘ পুনর্বাসন কেন্দ্রে আনা হয় তখন থেকে দেখছেন তিনি। প্রথম দিকে নিজেকে একটু দুরে দুরে রাখত ঠিকই। কিন্তু পরবর্তীতে লোহার গারদের ভেতর থেকেই বনকর্মীদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল রাজার। তার মনের খবর বুঝতে পারতেন বনকর্মীরা। তবে বিরক্ত করা একদম পছন্দ ছিল না রাজার।তাই রাজাকে দেখতে আসা মানুষদের চোখেচোখে রাখতেন বনকর্মীরা।
Annanya Dey





