Alipurduar: 'বিশ্বের বেতাজ বাদশা' রাজার মৃত্যুতে মন ভার মজনুর!
- Published by:Soumabrata Ghosh
Last Updated:
রাজার জীবনাবসানে মন ভারাক্রান্ত বনকর্মী মহঃ মজনুর। ফাঁকা লোহার গারদের সামনে দাঁড়ালেই ভেসে আসছে রাজার স্মৃতি।কত লোক আসত রাজাকে দেখতে।
#আলিপুরদুয়ার : রাজার জীবনাবসানে মন ভারাক্রান্ত বনকর্মী মহঃ মজনুর। ফাঁকা লোহার গারদের সামনে দাঁড়ালেই ভেসে আসছে রাজার স্মৃতি।কত লোক আসত রাজাকে দেখতে। তিনি সাবধান করতেন বেশি কথা না বলতে। রাজার ভালো মন্দের খবর সব বুঝতেন মজনু। সোমবার চোখের জলে রাজাকে বিদায় জানালেন তিনি। জীবনের পাতায় ইতি টানল বেতাজ বাদশা রাজা। বন্দীদশায় ভারতের সবচেয়ে পুরনো বাঘ ছিল রাজা বলে বনদফতর সূত্রে খবর।মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ২৫ বছর।থমথমে পরিবেশ আলিপুরদুয়ারের দক্ষিণ খয়েরবাড়ি বাঘ পুনর্বাসন কেন্দ্রে।রাজকীয় মেজাজেই চলে গেল রাজা বলে মত বনকর্মীদের। গতবছর বনদফতরের পক্ষ থেকে ধুমধাম করে পালন করা হয়েছিল রাজা-র ২৫ তম জন্মদিন। ২০০৮ সালে সুন্দরবনের মাতলা নদী পার করার সময় পেছনের বাঁ দিকের পা খুবলে খেয়ে নিয়েছিল কুমির। প্রায় মরণাপন্ন রাজা সেই সময় থেকেই রয়েছে জলদাপাড়া বন বিভাগের দক্ষিণ খয়েরবাড়ির বাঘ পুনর্বাসন কেন্দ্রে। বেশ কয়েকমাস মৃত্যুর সাথে লড়াই করে নতুন জীবন ফিরে পায় সুন্দরবনের এই পুরুষ রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার৷ সোমবার সকালে বয়সজনিত কারণে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে রাজা। আজ থেকে রয়েল বেঙ্গল শূন্য হয়ে আরও জৌলুশ হারালো দক্ষিণ খয়েরবাড়ি বাঘ পুনর্বাসন কেন্দ্র।
advertisement
এদিন দক্ষিণ খয়েরবাড়িতে রাজা কে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে উপস্থিত ছিল জলদাপাড়া ডি এফ ও দীপক এম, আলিপুরদুয়ার জেলাশাসক সুরেন্দ্র কুমার মিনা। বন সূত্রে জানা যায়, বাঘের আয়ু সাধারণত ১৮-২০ বছর। তবে সুন্দরবনের রাজা নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে ২৫ বছর অবদি জীবিত থেকে। মেজাজের দিক থেকেও রাজা ছিল রয়্যাল। তার চাহনি,লোহার গারদ কাঁপা গর্জন ঘুম কেড়ে নিত বনকর্মীদের। লোহার গারদের সামনে বনকর্মীদের কথাবার্তা খুব একটা পছন্দ করত না রাজা বলে জানা যায়, নিরিবিলি পরিবেশ ছিল তার প্রিয়।
advertisement
খাওয়াদাওয়াতে দেখা যেত রাজকীয়তা। বৃহস্পতিবার বাদে সপ্তাহের বাকি দিনগুলো রাজার খাবারের তালিকায় থাকে দশ কেজি মাংস। জলের সাথে গ্লুকোজ, ওআরএস মিশিয়ে দেওয়া হত রাজাকে। এদিকে স্নান না সারলে রাজার ঘুমও হত না বলেও জানা যায়। রাজার মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছেন তার লোহার গারদের সামনে পাহারারত বনকর্মীরা। আজ থেকে লোহার গারদটি ফাঁকা থাকবে বলে মন খারাপ তাদের। রাজার মৃতদেহের প্রতি শেষ সম্মান জানিয়েছেন সকল বনকর্মীরা।
advertisement
মহঃ মজনু নামের বনকর্মী জানান,রাজাকে যখন দক্ষিণ খয়েরবাড়ি বাঘ পুনর্বাসন কেন্দ্রে আনা হয় তখন থেকে দেখছেন তিনি। প্রথম দিকে নিজেকে একটু দুরে দুরে রাখত ঠিকই। কিন্তু পরবর্তীতে লোহার গারদের ভেতর থেকেই বনকর্মীদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল রাজার। তার মনের খবর বুঝতে পারতেন বনকর্মীরা। তবে বিরক্ত করা একদম পছন্দ ছিল না রাজার।তাই রাজাকে দেখতে আসা মানুষদের চোখেচোখে রাখতেন বনকর্মীরা।
advertisement
Annanya Dey
view commentsLocation :
First Published :
July 11, 2022 10:15 PM IST
