আলিপুরদুয়ারের এই এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, নিয়মিত বাড়ি থেকে গৃহপালিত পশু টেনে নিয়ে যাচ্ছে চিতাবাঘ। সম্প্রতি এই এলাকায় কৃষিজমি থেকে একটি চিতাবাঘের দেহ উদ্ধার হয়েছে। কী কারণে চিতাবাঘটির মৃত্যু হয়েছিল তা স্পষ্ট নয়। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এখনও আসেনি। এই ঘটনার পর থেকেই নাকি এলাকায় চিতাবাঘের আনাগোনা আরও বেড়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: শেষ হওয়ার মুখে শুশুনিয়ার পাথর শিল্প, সরকারি নিষেধাজ্ঞায় সঙ্কটে শিল্পীরা
advertisement
ফালাকাটা ব্লকের দেওগাঁও গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ দেওগাঁও এলাকায় চিতাবাঘের এই দৌরাত্ম্য শুরু হয়েছে। এলাকাটি কৃষি প্রধান। কিন্তু স্থানীয় কৃষকরা এখন সাহস করে চাষের জমিতে যেতে পারছেন না। সেখানে যখন তখন হানা দিচ্ছে চিতাবাঘ। এমনকি দিনের বেলায় স্থানীয়দের বাড়ির উঠোনেও চলে আসছে চিতাবাঘ। সম্প্রতি স্থানীয় বাসিন্দা মফিদুল ইসলামের বাড়ির পাশ থেকে একটি ছাগল টেনে নিয়ে গিয়েছে। ঘটনাটি প্রথমে বুঝতে পারেন মফিদুল ইসলামের ভাইয়ের স্ত্রী সাজিদা বেগম। তিনি জানান, ছাগলের চিৎকার শুনে ধান ক্ষেতের দিকে এগিয়ে গেলে দেখতে পান গাছগুলো নড়ছে। সন্দেহ হওয়ায় পরিবারের বাকি সদস্যদের ডেকে নিয়ে আসেন। তারা লাঠিসোঁটা নিয়ে তেড়ে এলে চিতাবাটি পালিয়ে যায়।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় মাদারিহাট রেঞ্জের অন্তর্গত দক্ষিণ খয়েরবাড়ির বিটের বনকর্মীরা। এরপর এলাকায় শুরু হয়েছে নজরদারি। সকাল-সন্ধে ধানক্ষেতে টহল দিতে দেখা যাচ্ছে বনকর্মীদের।পাশাপাশি ট্র্যাপ ক্যামেরা ও খাঁচা বসানো হয়েছে।চিতাবাঘ দেখলেই বন দফতরে খবর দিতে বলা হয়েছে এলাকার বাসিন্দাদের।
অনন্যা দে