ডুয়ার্স সফরে গিয়ে পর্যটকরা সবার আগে ছুটে যান গরুমারা, জলদাপাড়া, হলং,জয়ন্তীতে। হঠাৎ করে চিলাপাতা ফরেস্টে খুব বেশি মানুষের আনাগোনা হয় না। ডুয়ার্সের এই জঙ্গলের যাত্রা অতি মনোরম, আদিম ও বন্যতায় ভরপুর। পুজোর প্রাকমুহূর্তে চিলাপাতায় দেখা গিয়েছে বিদেশি পর্যটকদের আগমন। পুজোতেও বুকিং রয়েছে হোম স্টে, লজগুলিতে। এমনটাই জানালেন পর্যটন ব্যবসায়ী গণেশ শা। তিনি জানান, “শুধু বিদেশি পর্যটক নয়।কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের পর্যটকেরা বুকিং করেছেন। চিলাপাতার শান্ত পরিবেশ আসলে সকলের পছন্দ।”
advertisement
আলিপুরদুয়ার জেলা সদর থেকে ২০ কিমি দূরে ডুয়ার্সের একটি অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র চিলাপাতা।ডুয়ার্সের অন্যতম বড় বনাঞ্চল এই চিলাপাতা ফরেস্ট। দীর্ঘ তার পরিসর। চিলাপাতার গহীন জঙ্গলের সবটা একদিনে দেখে শেষ করা যায় না। এতটাই বড় এই জঙ্গল। গাইডরাও সব জায়গা ঘুরিয়ে শেষ করতে পারে না। পর্যটকদের সংখ্যাও এখানে অনেকটা কম।জঙ্গলকে বলা হয়ে থাকে কোচ রাজাদের মৃগয়াক্ষেত্র। এখানে তাঁরা শিকার করতে আসতেন। কোচরাজার সেনাপতি ছিলেন চিলা রায়। তিনি চিলের মতো ছোঁ মেরে শত্রু নিধন করতে পারতেন। তাঁর নামেই এই অরণ্যের নাম রাখা হয়েছিল চিলাপাতা। রেঞ্জ অফিস থেকে পারমিট করিয়ে তবে এই জঙ্গলে প্রবেশ করা যায়। সকাল ৫টা থেকে চলে জঙ্গল সাফারি। বিকেল ৫টায় শেষ সাফারি।কোচ রাজাদের গড়ের ভগ্নাবশেষেরও দেখা মেলে সেখানে। গণ্ডার, হাতি, গাউরের মত একাধিক জন্তুর দেখা মিলবেই। হরিণ, বাইসন তো রয়েইছে। আবার বাঘ, চিতাবাঘেরও দেখা মিলতে পারে ভাগ্য সদয় থাকলে।
অনন্যা দে