হাট ব্যবসায়ীদের একাংশের অভিযোগ, এমন সঙ্গীন পরিস্থিতি আগে হয়নি।হাটে লোক আসেই না। বেকার গাড়ি ভাড়া দিয়ে দোকান দিচ্ছেন তারা। ব্যবসায়ীদের একাংশের অভিযোগ, অনলাইন শপিং এর দিকে বেশি ঝুঁকেছে চা বাগানের নতুন প্রজন্ম।হাটমুখো হচ্ছেন না তারা।
কালচিনি এলাকার হাটগুলির ছবি একরকমের। হাটে পসরা সাজিয়ে বসছেন বিক্রেতারা। কিন্তু পুজোর তিন সপ্তাহ আগে ক্রেতারা আসছেন না হাটে। কার্যত যে সব জামা কাপড় বিক্রি করতে আসছেন প্রায় সবটাই আবার নিয়ে ফিরতে হচ্ছে তাদের। চা বাগানের বয়স্ক শ্রমিকরা হাটে গিয়ে দু-একটা জামাকাপড় দেখে নিজের পছন্দ মত কাপড় নিয়ে ফেরেন বাড়িতে।কিন্তু এই শ্রমিক মহল্লার নতুন প্রজন্ম অনলাইন শপিং সাইটগুলিতেই বিশ্বাস রাখছে। শপিং সাইটগুলিতে একের পর এক জামাকাপড় দেখে তার রেটিং দেখে জিনিস ক্রয় করে তারা।তারওপর রয়েছে ডিসকাউন্ট-এর বাহার।
advertisement
যা দেখে আকর্ষিত হচ্ছে চা বলয়ের নতুন প্রজন্ম।তারাই যেভাবে হোক পুরনো প্রজন্মকে বুঝিয়ে অনলাইন শপিং-এমনোনিবেশ করেছে। চা শ্রমিক মহল্লার নতুন প্রজন্মদের কথায়, অনলাইন শপিং বাড়িতে বসে হয়ে যায়।হাটে গিয়ে ধাক্কাধাক্কি করে জামাকাপড় কেনার ঝক্কি নিতে হয়না।আর ছাড় তো মেলে। তাই বাজেটের মধ্যে কেনাকাটা হয়ে যায়। ক্রেতার দেখা মিলছে না কালচিনি ব্লকের হাসিমারা, হ্যামিল্টনগঞ্জের সাপ্তাহিক হাটে।
এই হাটে কালচিনি, চুয়াপাড়া, মেচপাড়া, রায়মাটাং সহ একাধিক চা বাগানের শ্রমিকরা পুজোর আগে ভিড় জমান। এই বাজারে আলিপুরদুয়ার জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ব্যবসায়ীরা এসে দোকান দেন। তবে চা বাগানগুলোতে এখনও বোনাস না হওয়ায় বাজারে ক্রেতারা আসছেন না বলে দাবি ব্যবসায়ীদের। এছাড়াও করোনা পরিস্থিতি ছাড়া গত ২০ বছরে পুজোর মুখে এমন ক্ষতির মুখে পড়তে হয়নি বলে দাবি ব্যবসায়ীদের। বাজারে হাতে গোনা কয়েকজন ক্রেতার দেখা মিললো। এছাড়া পুরো বাজারই ফাঁকা ছিল।
আরও পড়ুন: South 24 Parganas News: বর্ষা ও নিম্নচাপের জোড়া ফলায় মাথায় হাত দক্ষিণ ২৪ পরগনার সব্জি চাষিদের
আরও পড়ুন: Malda News: পূর্বাঞ্চলীয় অ্যাথলিট মিটে সাফল্য মালদহের হাত ধরে বাংলার ঘরে এল সোনা
এই বিষয়ে আলিপুরদুয়ার থেকে আসা এক হাট ব্যবসায়ীরা বলেন, 'একদমই বিক্রি নেই, বাগান গুলোতে বোনাস হয়নি তাই হয়তো কেউ আসছে না। আবার অনলাইন শপিং এর প্রতি ঝুঁকেছে অনেকে।এভাবে চলতে থাকলে পরের সপ্তাহ থেকে দোকান দেব কী না তাই ভাবছি। কারণ আলিপুরদুয়ার থেকে এসব এলাকায় যাতায়াত করতে অনেকটাই খরচ হয়।তবে সে আন্দাজে আমাদের উপার্জন হচ্ছে না।'
Annanya Dey