বিষয়টিতে উৎসাহিত হয়ে বক্সায় শুরু হতে চলেছে এই প্রজাতির চিতাবাঘ সমীক্ষা ও সুমারির কাজ৷ সারা বিশ্বেই বিপন্ন এই বন্যপ্রাণীদের সংরক্ষণের জন্য বিশেষ মাস্টারপ্ল্যানও তৈরি হয় বনদফতরের তরফে। অন্যদিকে ২০২১ সালে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পে ফের দেখা মিলল ব্ল্যাক প্যান্থারের। জয়ন্তীর মহাকালের কাছে একসঙ্গে ২টি কালো চিতাবাঘের দেখা মিলেছে। তাদের ছবিও তুলেছেন পর্যটকরা। বনদফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, মাঝে মাঝেই বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পে ব্ল্যাক প্যান্থারের দেখা মেলে। তবে একসঙ্গে ২টি ব্ল্যাক প্যান্থারের দেখা মেলার ঘটনা গতবার প্রথম।
advertisement
বিশেষজ্ঞদের মতে, ব্ল্যাক প্যান্থার কোনও নতুন জন্তু নয়। এটি সাধারণ চিতাবাঘেরই একটি বর্ণগত বিভেদ। যেমন সাদা রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার আর সাধারণ বাঘে রং ছাড়া অন্য কোনও প্রকারভেদ নেই, তেমনই কালো চিতাবাঘের সঙ্গে কোনও ফারাক নেই সাধারণ চিতাবাঘের। ফলে একে বিরল প্রাণী বলা গেলেও বিলুপ্তপ্রায় বলা যায় না। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের ওই এলাকা ভৌগলিক কারণে বেশ নিরাপদ।
আরও পড়ুনঃ মাদারিহাট এলাকায় দুরপাল্লার ট্রেনের স্টপেজের দাবি এলাকাবাসীর
তাই সেখানে মাঝেমাঝেই দেখা মেলে ব্ল্যাক প্যান্থার, ক্লাউডেড লেপার্ডের মতো বিরল প্রাণী। ক্লাউডেড লেপার্ডের পিঠের দিকে জলপাই হলুদের ওপর গাঢ় বাদামী লম্বাটে ও গোলাকার বড় বড় চাকতির মতো রয়েছে। মুখে ও পেটে কালো ছোপ রয়েছে; লেজে কালো ছোপ বা বলয় রয়েছে। এদের পেট সাদাটে। পুরুষ বাঘ স্ত্রী বাঘ অপেক্ষা আকারে বড় হয়।
আরও পড়ুনঃ আশা কর্মীদের আন্দোলনে উত্তাল আলিপুরদুয়ার জেলা
মাথাসহ এদের দেহের দৈর্ঘ্য ৯৫ থেকে ১২০ সেমি এবং লেজ ৭৫-৮৫ সেন্টিমিটার। মোটা ও লম্বা লেজ এদের সহজেই গাছের ডালে হাঁটাচলা ও লাফানোর সময় ভারসাম্য রক্ষায় সাহায্য করে। দেহের তুলনায় এদের মাথা বড়। থাবাগুলোও বড়। কিন্তু পাগুলো খাটো। ওজনে এরা ১৭-২০ কেজি হয়।জাতীয় প্রাণী যাদের প্রধানত হিমালয়ের পাদদেশে দেখা যায় এই প্রাণীটিকে। এদের প্রধান বিস্তার হল দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং চীনে।
Annanya Dey