TRENDING:

Alipurduar: পর্যটকদের জন্য শীঘ্রই খুলবে বক্সা ফোর্টের দরজা

Last Updated:

আলিপুরদুয়ারের বক্সা দুর্গের সৌন্দর্যায়নের কাজ চলছে। ইতিমধ্যে প্রথম পর্বের কাজ শেষ হয়েছে। দ্বিতীয় পর্বের কাজ চলছে।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#আলিপুরদুয়ার : আলিপুরদুয়ারের বক্সা দুর্গের সৌন্দর্যায়নের কাজ চলছে। ইতিমধ্যে প্রথম পর্বের কাজ শেষ হয়েছে। দ্বিতীয় পর্বের কাজ চলছে। এই কথাটি জানিয়েছেন আলিপুরদুয়ারের জেলাশাসক সুরেন্দ্র কুমার মিনা। প্রথম পর্বের কাজে খরচ হয়েছে তিন কোটি টাকা। ঐতিহাসিক বক্সা দুর্গে সৌন্দর্যায়নের কাজ চলার সময় পৌরাণিক কিছু বৌদ্ধ মূর্তি ও স্তম্ভের হদিশ মিলেছে। যার থেকে বোঝা যায় সেখানে দুর্গ তৈরির আগে কোনও বৌদ্ধ মঠ ছিল। বক্সা দুর্গ ভারতের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ স্থান অধিকার করে। ১৭৭৩ সালে এই দুর্গটি প্রথমবারের জন্য ব্রিটিশ দের চোখে পরে। কোচবিহারের রাজার আমন্ত্রণে ব্রিটিশরা এই দুর্গ দখল করে নেয়। ১৮৬৫ সালের ১১ নভেম্বর, সিঞ্চুলার চুক্তির অংশ হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে দুর্গটি ব্রিটিশদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। দুর্গটি আগে বাঁশের তৈরি ছিল। ব্রিটিশরা এটিকে পাথরের দুর্গে রূপান্তরিত করে।
advertisement

পরবর্তীকালে ১৯৩০-এর দশক অবধি দুর্গটি উচ্চ নিরাপত্তাযুক্ত কারাগার ও ডিটেনশন ক্যাম্প হিসেবে ব্যবহৃত হয়। আন্দামানের সেলুলার জেলের পর এটিই ছিল ব্রিটিশ ভারতের সবচেয়ে কুখ্যাত ও দুর্গম কারাগার। বিনা বিচারে বন্দী করে রাখার জন্যে পাহাড়ের ওপর দুর্গম এই স্থানকে বেছে নেয় ইংরেজরা। ১৯৩৭ সাল পর্যন্ত এখানে মোট বন্দী ছিলেন ৫২৫ জন। বন্দী বিপ্লবীরা একবার জেলের ভেতরে রবীন্দ্র জয়ন্তী পালন করেন, এবং কবিকে জন্মদিনের অভিনন্দন জানান।

advertisement

আরও পড়ুনঃ হাইপারটেনশন, ডায়াবেটিস বিষয়ে স্বাস্থ্যকর্মীদের নিয়ে কর্মশালা কালচিনিতে

স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ তখন দার্জিলিং অবস্থান করছিলেন। এ কথা জানতে পেরে তিনি তার প্রত্যুত্তর দেন এই বলে \"অমৃতের পুত্র মোরা কাহারা শোনাল বিশ্বময়, আত্মবিসর্জন করি আত্মারে কে জানিল অক্ষয়\"। হিজলী জেলে গুলিচালনার প্রতিবাদে বক্সায় বন্দী বিপ্লবীরা অনশন করেছেন। প্রমথ ভৌমিক, জ্ঞান চক্রবর্তী, কৃষ্ণপদ চক্রবর্তী প্রমুখ অনুশীলন সমিতি ও যুগান্তর দলের জাতীয়তাবাদী বিপ্লবীদের এই দুর্গে ১৯৩০-এর দশক অবধি বন্দী করে রাখা হয়েছিল।

advertisement

View More

আরও পড়ুনঃ কালচিনিতে শীঘ্রই চালু হতে চলেছে আইটিআই কলেজ

পরবর্তীকালেও কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায়, বিনয় চৌধুরী, সতীশচন্দ্র পাকড়াশী, ননী ভৌমিক, পারভেজ শাহেদী, চিন্মোহন সেহানবীশ কমিউনিস্ট বিপ্লবী ও বুদ্ধিজীবী এই দুর্গে বন্দী ছিলেন ১৯৫০-এর দশকে।১৯৫৯ সালে চিন তিব্বত আক্রমণ করার পর ওই দুর্গকেই তিব্বতি শরনার্থী শিবির হিসেবে ব্যবহার করে ভারত সরকার। যেখানে টানা দশ বছর কাটানোর পর ওই তিব্বতি বৌদ্ধদের পাকাপাকি ভাবে ১৯৬৯ সালে পুনর্বাসন দেওয়া হয় ধর্মশালায়।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
লালগোলাতে রাজরাজেশ্বরী রূপে পূজিতা হন মা কালী! দেওয়া হয় ইলিশের ভোগ
আরও দেখুন

Annanya Dey

বাংলা খবর/ খবর/আলিপুরদুয়ার/
Alipurduar: পর্যটকদের জন্য শীঘ্রই খুলবে বক্সা ফোর্টের দরজা
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল