তিনি বলেন, বনবস্তির বাসিন্দারা ভবিষ্যতে যাতে সুখে সাচ্ছন্দ্যে থাকতে পারেন সেই দিকে বিশেষ নজর রাখবে রাজ্য সরকার। পূর্বে বক্সায় বাঘের সন্ধান করতে গিয়ে মাথা ব্যথার অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে কোর এরিয়ার কাছের বন বস্তি। রাজ্য বন দফতর সূত্রের খবর অনুযায়ী, প্রায় ১৫টি বন বস্তি আছে৷ যার মধ্যে দুটি বন বস্তির বাসিন্দাদের সরানো হচ্ছে। কারণ সেখানকার মানুষজন ও গৃহপালিত পশু। তাই বনবস্তির বাসিন্দাদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে জোরকদমে সচেতনতা প্রচার শুরু করা হয়েছে। রাজ্যের বন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জানিয়েছিলেন, "গাঙ্গুটিয়া ও ভুটিয়া বস্তির বাসিন্দাদের সরানো একপ্রকার নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে৷ বাসিন্দাদের সরানো হবে।
advertisement
এর মধ্যে গাঙ্গুটিয়া গ্রামে ২০১টি পরিবার আছে। এই অবস্থায় বন দফতরের কর্মীদের মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে, গাফিলতির কোনও জায়গা নেই। অরণ্য ভবনের তরফে মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে, টহলদারি চালাতে গিয়ে যে কোনও বন্যপ্রাণীর পায়ের ছাপ মিললেই খবর ততড়িঘড়ি পৌঁছে দিতে হবে বক্সার ফিল্ড ডিরেক্টরের কাছে। সংগ্রহ করতে হবে পাগমার্কের নমুনা। এর জন্য প্রতিটি দলের সঙ্গে রাখা থাকছে প্লাস্টার অফ প্যারিস ও জল। প্রতিদিন ভোরে এবং বিকেল থেকে সন্ধের আগে পর্যন্ত যাতে বনকর্মী ছাড়া কেউ জঙ্গলে ঢুকতে না পারেন, সেই দিকে কড়া নজর রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বন দফতরের নিজস্ব গোয়েন্দা বিভাগকে সক্রিয় করার নির্দেশিকা জারি করেছেন বন মন্ত্রী।
Annanya Dey