মঙ্গলবার দুপুরে ঘাটপাড় এলাকায় একটি সুপারি গাছের উপরে লেপার্ডটিকে দেখতে পায় গ্ৰামবাসীরা । পরবর্তীতে বনকর্মীরা ঘুমপাড়ানি গুলি ছুঁড়ে লেপার্ডটিকে কাবু করে খাঁচাবন্দী করতে সক্ষম হয় । প্রায় ৪৮ ঘণ্টা পর লেপার্ডটিকে খাঁচাবন্দী করতে পেরে স্বঃস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে গ্ৰামবাসী থেকে শুরু করে বনকর্মীরা। এডিএফও নবজ্যোতি দে জানান,"সকলের সহযোগিতায় লেপার্ডটিকে ধরা সম্ভব হয়েছে।গ্রামবাসীদের কাছে অনুরোধ এরপরেও লেপার্ড দেখা গেলে আগে বন দফতরে জানাবেন।" লেপার্ড এলাকায় রয়েছে শোনার পর রবিবার রাত থেকে ঘটনাস্থলে নজরদারি চালাচ্ছেন জলদাপাড়া বন দফতর ও সোনাপুর ফাঁড়ির পুলিশ।রবিবার দুপুরবেলা থেকে ওই এলাকায় ঝোপের চারপাশে বাঘ ধরার জন্য জাল লাগানো হয়। জালের ভেতরে বসানো হয় খাঁচা। সেখানে টোপ হিসেবে ছাগলও রাখা হয়েছিল। কিন্তু লেপার্ডটি খাঁচাবন্দি হয়নি।
advertisement
বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ওইদিন রাতে চিতাবাঘটি খাঁচার পাশে এসেছিল। সোমবার সকালে সেখানে লেপার্ডের পায়ের ছাপ দেখে তা স্পষ্ট হয়। তাই বাঘটি যে এলাকা ছাড়েনি সেব্যাপারে বন দফতর নিশ্চিত ছিল। মঙ্গলবার সকাল থেকেও বনকর্মীরা বাঘ ধরার জন্য সবরকমের চেষ্টা চালিয়ে যান। তবে দিনের বেলা এলাকার মানুষের ভিড়ের কারণে লেপার্ড ধরার প্রক্রিয়ায় সমস্যা হচ্ছিল বলে বন দফতর সূত্রে জানা যায়। যদিও এলাকাবাসীরা বনদফতরের ভূমিকায় নিয়ে প্রশ্ন তুলছিলেন।এলাকাবাসীদের কথায়,বন দফতরের স্পেশাল টিম এসে কোনও কাজ করছে না।এদিক,ওদিক গল্প করে সময় কাটাতে দেখা যাচ্ছে তাদের।এদিকে রাতের বেলায় ঘুম হচ্ছে না এলাকাবাসীদের।তবে এদিন লেপার্ডটি খাঁচাবন্দী হওয়ায় স্বস্তি ফিরেছে এলাকায়। তবুও বনদফতরের পক্ষ থেকে এলাকাবাসীদের সাবধান থাকতে বলা হয়েছে।
অনন্যা দে