পুজো প্যাণ্ডেলে প্রবেশের মুখে থার্মাল গান দিয়ে শরীরের তাপমাত্রা পরিমাপ করা হবে।এরপর কেউ যদি ডেঙ্গির উপসর্গ নিয়ে আসেন তাকে শিবিরেই ডেঙ্গি পরীক্ষা করা হবে। সেখান থেকেই জানিয়ে দেওয়া হবে ডেঙ্গি হলে কি কি করণীয় সে বিষয়ে। এই প্রথম সরকারি তরফে এই উদ্যোগ নেওয়া হবে।ব্লকবাসীদের সুরক্ষার কথা ভেবে এই উদ্যোগ নেবেন বিডিও।কালচিনির বিডিও প্রশান্ত বর্মণ জানান, "ব্লক স্বাস্থ্য দফতরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে শিবিরটি করার জন্য পুজো প্যান্ডেলের সামনে।ডেঙ্গি পরীক্ষা যথেষ্ট ব্যয়বহুল তাই সরকারি উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।ব্লক ডেঙ্গুমুক্ত রাখা প্রধান উদ্দেশ্য।" কালচিনি ব্লকের গাড়োপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতে বৃদ্ধি পাচ্ছে আক্রান্তের সংখ্যা।ব্লক প্রশাসনের কড়া নজর রয়েছে এই গ্রাম পঞ্চায়েতে।
advertisement
আরও পড়ুন - Durga Puja Fashion Tips: শ্যামলা, শ্যামলা বরণে শরীরে লেপ্টে শাড়ি, পুজোয় তুফান তুলুন
সম্প্রতি কালচিনির বিডিও প্রশান্ত বর্মণ পরিদর্শনে করেন এই এলাকায়।তিনি এলাকায় গিয়ে বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন।তাদের পরিস্কার থাকার পরামর্শ দেন।নিকাশি নালা পরিস্কার রাখার নির্দেশ দিয়েছেন গ্রাম পঞ্চায়েতকে।
বিডিও প্রশান্ত বর্মণ জানান,এলাকায় ডেঙ্গি আক্রান্তের হদিশ মিলতেই ব্লক প্রশাসন কড়া নজর রাখছে গ্রামটির ওপর। কোন ওভাবেই যাতে এলাকায় জল না জমে তা দেখা হচ্ছে।স্বাস্থ্যকর্মীরা এসে আক্রান্তদের খোঁজ নিচ্ছেন।আক্রান্তদের মধ্যে একজন পড়ুয়া আছে,যে বতর্মানে সুস্থ।কালচিনি ব্লক ডেঙ্গু প্রবণ।এই ব্লক ডেঙ্গুমুক্ত রাখতে সব চেষ্টা করা হবে।
কালচিনি ব্লক স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুসারে, ২০১৯ সালে কালচিনি ব্লকে ডেঙ্গু ভয়াবহ আকার নিয়েছিল।সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছিল জয়গাঁ এলাকায়।কালচিনি ব্লকে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২২২৮জন।জয়গাঁ এলাকাতেই ২২০০জন আক্রান্ত হয়েছিল।দুজনের মৃত্যু হয় জয়গাঁতে।২০২০তে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা কমে ২১ জনে।২০২১সালে ৬৩জন ডেঙ্গু আক্রান্তের হদিশ মেলে কালচিনি ব্লকে। ২০২২সালে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।তবে এই সংখ্যা যাতে আরও বৃদ্ধি না পায় সেদিকে নজর রয়েছে কালচিনি ব্লক প্রশাসনের।
Annanya Dey