এই পুজো নিয়ে রাজবংশী সমাজে একটি সুন্দর লোককথা প্রচলিত রয়েছে।কথিত আছে,দশমীতে বিসর্জনের পর বাপের বাড়ি থেকে উত্তরবঙ্গের বণাঞ্চলের মধ্যে দিয়ে গ্রাম্য বধূ বেশে কৈলাশে ফিরছিলেন উমা। কিন্তু, রাতের অন্ধকারে অরণ্যের ভিতর দিয়ে যেতে গিয়ে পথ হারিয়ে ফেলেন তিনি। পথভ্রষ্ট গ্রাম্যবধূর কান্নার শব্দ শুনে ছুটে আসে রাজবংশী সমাজের কিছু লোক। তারা তাঁকে নিয়ে যায় নিজেদের গ্রামে। দেবী সেই রাত ওই গ্রামে কাটিয়ে একাদশীর দিন ফিরে যান কৈলাশে।
advertisement
আরও পড়ুন: বিশেষ নিরাপত্তা মালদহ দুর্গাপুজো কার্নিভালে ! মাল নদীর ভয়াবহতা মাথায় রেখে নয়া নিয়ম জারি!
গ্রামবাসীদের আতিথ্যে তুষ্ট হয়ে, যাওয়ার আগে দেবী নিজের প্রকৃত পরিচয় দেন এবং গ্রাম-বাংলার মানুষের শস্যের ভাণ্ডার সর্বদা পূর্ণ থাকার বর দিয়ে যান। সেই থেকেই ভাণ্ডানী পুজোর সূচনা। ডুয়ার্সের আলিপুরদুয়ারের পূর্ব ভোলারডাবড়ী এলাকায় দুর্গা পুজিত হয় মা ভাণ্ডানী রুপে। মা দুর্গার দশহাত থাকলেও মা ভাণ্ডানী চতুর্ভূজা।নেই অসুর। জেলার বেশ কিছু গ্রামে সমৃদ্ধির দেবীর পুজোকে ঘিরে ফের উৎসবের আমেজ। আলিপুরদুয়ার শহর লাগোয়া পূর্ব ভোলার ডাবরি গ্রামে এই পুজো এবার ১১৫ বছরে পড়ল।মানুষদের বিশ্বাস বাপের বাড়ি আরও একদিন অন্যরূপে থাকার অনুমতি পেয়েছিলেন মা দুর্গা।পুজা কমিটির সদস্যরা জানান এই পুজো আমাদের পূর্বপুরুষরা সূচনা করেন। এই পুজোর সময় গ্রামের সব মেয়েরা ও ছেলেরা যে যেখানেই থাকুন তারা বাড়িতে ফেরেন।
অনন্যা দে