আর দ্বিতীয় বারের এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় চক্রান্তের গন্ধ পাচ্ছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। এ বারেও বেশ কয়েক লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।স্থানীয় ব্যবসায়ীরা মনে করছেন এটা কোনও দুস্কৃতির কাজ হলেও হতে পারে। তারা প্রশাসনের কাছে আর্জি রেখেছেন গোটা ঘটনার তদন্ত করার। এই ঘটনার জেরে সোমবার সারাদিন ব্যবসা বন্ধ রেখেছেন ব্যবসায়ীরা। আরেকদল ব্যবসায়ী মনে করছেন শর্ট সার্কিটের জেরে ঘটনাটি ঘটেছে। এ ছাড়াও এলাকাটি ঘনবসতিপূর্ণ। ফলে দমকলের ইঞ্জিন প্রবেশ করতে পারে না দেখে সব ভস্মীভূত হয়ে যায়।
advertisement
আরও পড়ুনঃ চেয়েছিলেন একটু দেখা, অনুগামীদের হতাশ করলেন মিঠুন, গাড়ি থেকে নামলেনই না
১৬ নভেম্বর ভোরে বিধ্বংসী আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেল কুমারগ্রাম ব্লকের খোয়ারডাঙা বাজারের দোকানগুলি। ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে গোটা এলাকা জুড়ে। জানা গিয়েছে, এ দিন ভোরে খোয়ারডাঙা বাজারের ব্যবসায়ী নিরঞ্জন পালের একটি মুদির দোকান-সহ দুটি গুদাম ঘর ও সুজিৎ সাহা নামে এক ব্যবসায়ীরও মুদির দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এ ছাড়া কাজল রায়ের পানের দোকান ও গোবিন্দ রায়ের মিষ্টির দোকান ওই বিধ্বংসী আগুনের কবলে পড়ে। আগুন লাগানোর খবর চাউর হতেই এলাকার বাসিন্দারা আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। তৎক্ষণাৎ খবর দেওয়া হয় বারবিশা দমকল কেন্দ্রে।
বারবিশা দমকলের একটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে যাওয়ার পরেও তাদের ট্যাঙ্কের জল শেষ হয়ে যায়। এরপর আলিপুরদুয়ার সদর থেকে দমকলের আর একটি ইঞ্জিন আসে। ঠিক এরপরেই আগুন নেভাতে সক্ষম হয় দমকলের কর্মীরা। হাফ ছেড়ে বাঁচেন সকলে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে হতাশার ছাপ দেখা যায় গোটা বাজার চত্বরে। ঠিক কী কারণে আগুন লাগলো ওই দোকান গুলিতে তার কারন এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। ব্যবসায়ী নিরঞ্জন পালের ক্ষতির পরিমাণ অনেকটাই। প্রশাসনের কাছে সাহায্যের আর্জি জানিয়েছেন ওই ব্যবসায়ীরা।
Annanya Dey