Durga Puja 2025: সবুজায়নের বার্তা থেকে মায়ানমারের মন্দির! এগরা ও ভগবানপুরে নজরকাড়া দুর্গোৎসব
- Published by:Salmali Das
- hyperlocal
- Reported by:Madan Maity
Last Updated:
Durga Puja 2025: রাজ্য সরকারের ‘আমার পাড়া, আমাদের সমাধান’ প্রকল্পের ভাবনা এবার অনুপ্রেরণা হয়ে উঠল এগরার ফ্রেন্ডস ইউনাইটেড ক্লাবের দুর্গোৎসবে।
রাজ্য সরকারের ‘আমার পাড়া, আমাদের সমাধান’ প্রকল্পের ভাবনা এবার অনুপ্রেরণা হয়ে উঠল এগরার ফ্রেন্ডস ইউনাইটেড ক্লাবের দুর্গোৎসবে। মুখ্যমন্ত্রী যেমন মানুষের সমস্যার সমাধান খুঁজছেন পাড়ার স্তরে গিয়ে, তেমনই এই ক্লাবও বিশ্বাস করে পরিবেশ রক্ষাল সমস্যার সমাধান শুরু হতে পারে পাড়ার মানুষের হাত ধরেই। তাই তাদের এবারের থিম ‘আমাদের পাড়া, আমাদের পরিবার, মাতৃকোলে সবুজায়ন’। (তথ্য ও ছবি : মদন মাইতি)
advertisement
এবার একাদশ বর্ষে পদার্পণ করল ফ্রেন্ডস ইউনাইটেড ক্লাব। এক দশকের ঐতিহ্য বজায় রেখেই এ বছর তারা মন দিয়েছে পরিবেশ বিষয়ক সচেতনতার বার্তা ছড়িয়ে দিতে। তাই মণ্ডপের নকশায় ফুটে উঠেছে বট বৃক্ষের রূপ। এক বিশাল বট গাছের কোলেই পুজিতা হচ্ছেন দেবী দুর্গা। চারপাশে সাজানো হয়েছে সবুজ গাছপালা, যেগুলির পরিচর্যা করছে পাড়ার লোকেরা। পাড়ার হাত ধরে গড়ে উঠছে এই সবুজ উদ্যোগ। (তথ্য ও ছবি : মদন মাইতি)
advertisement
ক্লাবের অন্যতম জয়ন্ত সাউ বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি, পরিবেশ রক্ষায় প্রথম দায়িত্ব আমাদেরই। তাই এবারে পুজোর মাধ্যমে পাড়ার মানুষকে সবুজের গুরুত্ব বোঝাতে চাই। প্রত্যেককে অন্তত একটি করে গাছ লাগাতে উৎসাহ দিচ্ছি। আমাদের কাছে পুজো মানে কেবল আনন্দ নয়, দায়িত্বও। এই মণ্ডপ সেই দায়িত্বের প্রতীক হয়ে উঠুক।” (তথ্য ও ছবি : মদন মাইতি)
advertisement
ভগবানপুরের ভেড়ীর বাজার সার্বজনীন দুর্গোৎসব এ বছর তৃতীয় বর্ষে পদার্পণ করেছে। প্রথমদিকে এই এলাকায় কোনও দুর্গোৎসব ছিল না। সাতটি গ্রামের ছেলেমেয়েদের দূরে গিয়ে পুজো দেখতে হত। তাই প্রায় ১০০ জন মহিলা একত্রিত হয়ে গড়ে তুলেছিলেন এই পুজো। পাশে দাঁড়িয়েছিলেন গ্রামের পুরুষরাও। শুরু হয়েছিল এক ছোট আয়োজন, যা আজ এক জনপ্রিয় পুজোতে পরিণত হয়েছে। পুজোর ক’টা দিন যেন মণ্ডপের চারপাশ হয়ে ওঠে জনারণ্য। আনন্দ ভাগ করে নেন আশেপাশের গ্রামের মানুষজনও। (তথ্য ও ছবি : মদন মাইতি)
advertisement
স্বল্প সময়ে পুজোটির জনপ্রিয়তা বেড়েছে বহুগুণ। এবারে তাদের থিম তৈরি করা হয়েছে মায়ানমারের বৌদ্ধ মন্দিরের আদলে। মণ্ডপে রয়েছে শৈল্পিক ছোঁয়া, আলো ঝলমলে পরিবেশ। দর্শনার্থীদের মুগ্ধ করছে অনন্য সুন্দরী সাবেকি প্রতিমা। থিমের গাম্ভীর্য ও প্রতিমার আভিজাত্য দুই মিলিয়ে আলাদা মাত্রা এনেছে এবারের আয়োজন। এছাড়াও পুজোয় কয়েকটি তারা ব্রতি হয়েছে নানান সামাজিক কর্মকাণ্ডে। (তথ্য ও ছবি : মদন মাইতি)
advertisement
ক্লাবের অন্যতম অরূপ সুন্দর পন্ডা বলেন, “আমাদের লক্ষ্য শুধু সাজসজ্জা নয়, শিল্পকলার মাধ্যমেও মানুষকে ভিন্ন স্বাদ দেওয়া। প্রতি বছর কিছু নতুন আনার চেষ্টা করি। এবারে বিদেশি ছোঁয়া এনেছি, তবে প্রতিমায় রেখেছি বাংলার ঐতিহ্য।” তাঁর আশা, আগামী দিনে এই পুজোও হবে এলাকার অন্যতম আকর্ষণ। ইতিমধ্যেই প্রতিদিন সাত গ্রামের মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন এই মণ্ডপে।(তথ্য ও ছবি : মদন মাইতি)