Insect Eating Plant: গায়ে কাঁটা-কাঁটা, গবগব করে খায় পোকা-মাকড়, মাংসাশী এই ছোট উদ্ভিদ রয়েছে বাংলায়
- Published by:Pooja Basu
- hyperlocal
- Reported by:Ranjan Chanda
Last Updated:
Sundews Bug: মেদিনীপুরে বহুকাল ধরেই রয়েছে এই পতঙ্গভুক উদ্ভিদ, বাঁকুড়াতে অস্তিত্ব সর্বপ্রথম নয় সূর্যশিশিরের। মাংসাশী ভেবে আতঙ্কিত হবেন না।
আমাজন জঙ্গলের মাংসাশী উদ্ভিদ নাকি পাওয়া যাচ্ছে বাংলার বাঁকুড়াতে? এমনই একটি বিষয় সাধারণ মানুষের মধ্যে চাউর হয়েছে! এ নিয়ে রীতিমতো বেশ উদ্বেগ পরিস্থিতিও সৃষ্টি হয়েছে সকলের মধ্যে। ছবিতে দেখে এই উদ্ভিদকে বিশাল মনে হলেও আদতে তা নয়। সামান্য ছোট লাল-কমলা বর্ণের এই উদ্ভিদ। যা মাংসাশী বললে বেশ ভুল বলা হবে। (রঞ্জন চন্দ)
advertisement
advertisement
advertisement
মূলত পাথুরে এলাকায় জন্মায় এই সূর্যশিশির। দেখতে অত্যন্ত ছোট। লাল কমলা বর্ণের এই বিশেষ উদ্ভিদ প্রজাতি। যার পাতাগুলো গোলাকার। এবং পাতার চারিদিকে শুঁড়ের মতপ্রশাখা জাতীয় অংশ থাকে। যার মাথায় থাকে শিশির বিন্দুর মতো আঠালো পদার্থ। এই সূর্যশিশিরের রং এবং শিশিরের ন্যায় আঠালো পদার্থ আকৃষ্ট করে মাটিতে থাকা পিঁপড়ে, অন্যান্য ছোট পোকামাকড়দের। একবার সেই আঠালো পদার্থতে আটকে গেলে আর বেঁচে ফিরতে পারে না কোনও পোকামাকড়।
advertisement
তবে বর্তমান সময়ে সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে বাঁকুড়াতে অস্তিত্ব পাওয়া সানডিও বা সূর্যশিশির নিয়ে বেশ উদ্বেগের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। কেউ কেউ আবার মাংসাশী ভেবে এই গাছ নষ্ট করে দিচ্ছে। তবে পশ্চিম মেদিনীপুরের গুড়গুড়িপাল, চাঁদড়া, লালগড় সহ একাধিক জঙ্গলে বহুকাল আগে থেকেই এই উদ্ভিদের অস্তিত্ব রয়েছে।
advertisement
advertisement
তবে এই ধরনের বিলুপ্ত উদ্ভিদকে বাঁচিয়ে রাখার উদ্যোগ নিচ্ছে বনদফতর। মানুষ ভয় পেয়ে বা আতঙ্কের মধ্য দিয়ে এই উদ্ভিদকে নষ্ট করে দিতে পারে। তাই যে সমস্ত জঙ্গলে এই উদ্ভিদ রয়েছে সেই সমস্ত জায়গা চিহ্নিত করে বাঁচিয়ে রাখার পরিকল্পনা নিচ্ছে মেদিনীপুর বন বিভাগ। স্বাভাবিকভাবে সূর্যশিশিরের অস্তিত্ব বহুকাল আগে থেকেই রয়েছে মেদিনীপুরে, এ বিষয় নিয়ে ভয় না পাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে বন বিভাগ।