DA Case: 'রাজ্যই বলেছে, তাই রাজ্যকে এই রুল মানতেই হবে!' ডিএ মামলায় কড়া মন্তব্য সুপ্রিম কোর্টের! রাজ্যের দাবি, অভিযোগ মিথ্যা
- Published by:Suman Biswas
- news18 bangla
- Reported by:ARNAB HAZRA
Last Updated:
DA Case: রাজ্যের তরফে আইনজীবী শ্যাম দিওয়ান বৃহস্পতিবার আদালতে বলেন, ‘বিষয়টি সাংবিধানিক। রাজ্য সরকার তার অধিকার বলে সরকারি কর্মীদের চাকরির শর্ত তৈরি করবে। এটাই মৌলিক প্রিন্সিপাল।''
advertisement
advertisement
আর বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্টতই জানিয়ে দিল, নিজেদের কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার ব্যাপারে রাজ্যকে তার নিজের তৈরি বিধি মানতে হবে। রাজ্যের তরফে আইনজীবী শ্যাম দিওয়ান বৃহস্পতিবার আদালতে বলেন, ‘বিষয়টি সাংবিধানিক। রাজ্য সরকার তার অধিকার বলে সরকারি কর্মীদের চাকরির শর্ত তৈরি করবে। এটাই মৌলিক প্রিন্সিপাল। রাজ্য সরকার ডিএ দিচ্ছে না, এমন অভিযোগ মিথ্যা। এই ধারণা রাখাও উচিত নয়।’
advertisement
advertisement
এদিকে, কোনও সুনির্দিষ্ট নীতি ছাড়াই রাজ্য সরকার তাদের খেয়াল খুশি মতো ডিএ দিচ্ছে, আদালতে অভিযোগ করেন সরকারি কর্মীদের তরফে সওয়াল করা আইনজীবী রউফ রহিম। বিচারপতি প্রশান্তকুমার মিশ্রের পর্যবেক্ষণ, ‘কর্মীদের আর্থিক অবস্থার কথা ভাবতে হবে৷ রাজ্য সরকার বিভ্রান্তি তৈরি করে তার সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করেছে। এরা নিজেরাই সমস্যা তৈরি করেছে, সেই সমস্যার সুবিধে নেওয়ার চেষ্টা করেছে।’ ডিভিশন বেঞ্চের অন্য বিচারপতি সঞ্জয় কারোল বলেন, ‘মাথায় রাখতে হবে এটা কোনও আর্থিক ইমার্জেন্সি নয়৷’
advertisement
আইনজীবী রউফ রহিম বলেন, ‘ধরা যাক আজ একজন কর্মী ১০,০০০ টাকা ডিএ পাচ্ছেন। ও দিকে পেট্রলের দাম বাড়ছে, অন্যান্য জিনিসের দাম বাড়ছে। সেই মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার জন্যই বর্ধিত ডিএ দেওয়া প্রয়োজন। রাজ্য বলতে পারে না, তারা বেতন কমিশনের সুপারিশ মানবে না। রাজ্য কোনও নীতিতে, কোন ভিত্তিতে ডিএ পেমেন্ট করেছে, এর কোনও উত্তর নেই।’
advertisement
advertisement
advertisement
তিনি আরও বলেন, ROPA Rules, ২০০৯ অনুযায়ী, ২০০৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হওয়ার কথা। কিন্তু রাজ্য সরকার ২০০৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০০৮ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত সময়ের ডিএ Arrear (বকেয়া) না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। অর্থাৎ, ২০০৬ থেকে ২০০৮ সময়ের ডিএ বকেয়া রয়ে যায় এবং সরকার সেই টাকাটা দিতে চায়নি। ROPA Rules অনুযায়ী, DA হিসাব AICPI (1982=100) অনুসারে করতে হবে।
advertisement
সরকারি কর্মচারিদের আইনজীবীদের মন্তব্য, ''AICPI হল, একটি সংখ্যা (index), যা দেখায় কতটা দ্রব্যমূল্য বেড়েছে। এটি প্রতি মাসে Labour Bureau, Ministry of Labour & Employment প্রকাশ করে। বিচারপতি পি কে মিশ্র ডিএ নিয়ে বৈষম্যের কথা কেন বলছেন? পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কর্মচারীদের দিল্লি, চেন্নাইয়ে কি ডিএ দেওয়া হয়?''
advertisement
গোপাল সুব্রহ্মণ্যম আরও বলেন, বঙ্গভবন, নয়াদিল্লি এবং ইউথ হোস্টেল, চেন্নাইয়ে কর্মরত রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা কেন্দ্রীয় হারে ডিএ পাচ্ছেন। অর্থাৎ তাদের ডিএ হিসাব করা হচ্ছে All India Consumer Price Index (AICPI) অনুযায়ী, যেভাবে কেন্দ্রীয় কর্মচারীরা পান। অথচ পশ্চিমবঙ্গে কর্মরত অন্য কর্মচারীরা সেই হারে ডিএ পাচ্ছেন না। রাজ্যের বাইরে কর্মচারীদের ডিএ কষছেন কেন্দ্রীয় হারে। আর রাজ্যের ভিতরের কর্মচারীদের ডিএ দেওয়ার পদ্ধতি আলাদা হবে বলছে।
advertisement
advertisement