একটি হিসাব অনুযায়ী, বর্তমানে বিশ্বে পারমাণবিক বোমার সংখ্যা ১৩ হাজারের বেশি। বিশ্বের মোট ৮টি দেশের কাছে এগুলো রয়েছে। বর্তমানে ইউক্রেনের সাথে যুদ্ধরত রাশিয়ার কাছে একাই ৬৮০০ পারমাণবিক বোমা আছে, আমেরিকার কাছেও এই বিধ্বংসী অস্ত্রের সংখ্যা হাজারে। রাশিয়া যদি এই অস্ত্রটি কোথাও ব্যবহার করত, পৃথিবী বিপদে পড়ত, তবে ৫টি জায়গা এখনও নিরাপদ থাকবে (Nuclear War Safest Places)
দ্য সান-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পারমাণবিক যুদ্ধের সময় এটি অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশে প্রভাব ফেলবে না। এ কারণে ১৯৬১ সালের জুন মাসে চুক্তি (Antarctic Treaty) এর আওতায় এখানে যেকোনো ধরনের সামরিক তৎপরতা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এই চুক্তিতে বিশ্বের অধিকাংশ দেশ পারমাণবিক শক্তিধর দেশ। এমন পরিস্থিতিতে এই মহাদেশে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করা হবে না।
আমেরিকা পরমাণু যুদ্ধে জড়িয়ে পড়লেও এই মহাদেশে বর্তমান কলোরাডোর পাহাড়ি এলাকা (এল পাসো কাউন্টি, কলোরাডো) যুদ্ধের প্রভাব পড়বে না। কারণ, এই স্থানে পাহাড়ের (শেয়ান পর্বত) ভেতরে একটি নিউক্লিয়ার প্রুফ গুহা রয়েছে। এই গুহার প্রবেশপথে 25 টন ওজনের একটি বিশাল দরজা রয়েছে যা একটি পারমাণবিক বোমাও গলতে পারে না। এটি উত্তর আমেরিকার মহাকাশ প্রতিরক্ষা কমান্ড (NORAD) এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর কমান্ডের সদর দফতর এবং সোভিয়েত ইউনিয়নের আক্রমণ মোকাবেলা করার জন্য ১৯৬৬ সালে আমেরিকা দ্বারা নির্মিত হয়েছিল। (ছবি- Pixabay)
পরমাণু নিরাপদ স্থানের তালিকায় পরবর্তী নামটি প্রশান্ত মহাসাগরের একটি ছোট দ্বীপ গুয়াম। গুয়ামের জনসংখ্যা মাত্র ১ লাখ ৬৮ হাজার এবং এখানে সেনাবাহিনী মাত্র ১৩০০ জন। এই দেশটি সম্পূর্ণভাবে পর্যটনের উপর নির্ভরশীল এবং কোন দেশই এর শত্রু নয়। এখানে পারমাণবিক হামলার কোনো সম্ভাবনা নেই। কল্পনা করুন যে মাত্র ২৮০ জন পূর্ণকালীন সৈন্য সহ একটি দেশ কতটা নিরাপদ হবে!(ছবি- Pixabay)
এই তালিকার শেষ নামটি কিছুটা চমকপ্রদ। সাধারণত মুসলিম দেশগুলো থেকে ইসরায়েলের অস্তিত্ব মুছে ফেলার হুমকি পাওয়া যায়। এতদসত্ত্বেও ইসরায়েলে পারমাণবিক হামলার সম্ভাবনা কমে যায় কারণ সেখানে মুসলিম, খ্রিস্টান ও ইহুদি ধর্মের অতি প্রাচীন নিদর্শন রয়েছে, যেগুলো কেউ ধ্বংস করতে চাইবে না। এমন পরিস্থিতিতে পারমাণবিক হামলার প্রশ্নই ওঠে না। (ক্রেডিট- Pixabay)