কোভিড পজিটিভ রোগীদের হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা বেশি, বলছে নয়া গবেষণা
- Published by:Siddhartha Sarkar
- news18 bangla
Last Updated:
গবেষকরা বার বার উল্লেখ করেছেন যে কোভিড-সহ কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হলে বাঁচার সম্ভাবনা ক্ষীণ।
বয়স যদি ৮০-র উপরে হয় এবং তার সঙ্গে থাকে কোভিড ১৯-এর উপসর্গ, তা হলে সেই সব রোগীদের হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা প্রবল এবং জীবনযুদ্ধে জয়ী হওয়ার সম্ভাবনাও খুবই ক্ষীণ। এ কথা দাবি করছে বিএমজে বলে একটি পত্রিকায় সম্প্রতি প্রকাশিত হওয়া এক গবেষণা। অবশ্য শুধু সমীক্ষাটি তুলে ধরেই ক্ষান্ত থাকেননি গবেষকরা। কী ভাবে একজন কোভিড রোগী ও তাঁর পরিবার এই বিষয়টির মোকাবিলা করবেন, তার বিস্তারিত বিবরণও লেখাটিতে উল্লেখ করেছেন তাঁরা। Representational Image
advertisement
খবর অনুযায়ী, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক দল ওই দেশের ৬৮টি হাসপাতালে এই সমীক্ষা চালিয়েছেন। কোভিড-১৯ আক্রান্ত প্রায় ৫,০১৯ জন সাঙ্ঘাতিক অসুস্থ রোগী, যাঁদের বয়স ১৮ বা তার উপরে, এঁদের উপরেই এই গবেষণা করা হয়েছে। গবেষণা বলছে এই রোগীদের মধ্যে ১৪% অর্থাৎ ৭০১ জনকে ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে ভর্তি করার ১৪ দিনের মাথাতেই হার্ট অ্যাটাক হয়েছে। এঁদের মধ্যে ৪০০ জনকে অর্থাৎ ৫৭% রোগীকে সিপিআর বা কার্ডিওপালমোনারি রেজাসসাইটেশন দেওয়া হয়েছে। Representational Image
advertisement
দলের একজন গবেষক জানিয়েছেন যে, যাঁদের হাসপাতালেই কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছে, তাঁদের সবারই গড় বয়স ৬০ থেকে ৬৩ বছরের মধ্যে। এঁদের আগে থেকেই অনেক শারীরিক সমস্যা ছিল। তবে একই সঙ্গে হাসপাতাল কী ভাবে কাজ করছে অর্থাৎ কর্মীদের দক্ষতা ও রোগীদের সঙ্গে তাঁদের ব্যবহার কেমন, হাসপাতালে থাকার ধকলের মতো গৌণ বিষয়কেও গুরুত্ব দেওয়ার কথা জানিয়েছেন গবেষকরা। কেন না এই বিষয়গুলোর উপর ভিত্তি করেও কেউ বেঁচে যেতে পারেন, আবার কারও মৃত্যু ত্বরাণ্বিত হতেই পারে! Representational Image
advertisement
গবেষকরা বার বার উল্লেখ করেছেন যে কোভিড-সহ কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হলে বাঁচার সম্ভাবনা ক্ষীণ। তবে যাঁরা এই পরিস্থিতিকে জয় করে বেরিয়ে এসেছেন তাঁদের মধ্যে ২১% রোগীরই বয়স ৪৫-এর নিচে। ৮০ বছরের কোঠায় ছিলেন যাঁরা, জীবন ফিরে পেয়েছেন তাঁদের মধ্যে মাত্র ৩%। অবশ্য না বললেই নয় যে এই সমীক্ষা চালাতে গিয়ে গবেষকদের বেশ কিছু অসুবিধের মুখেও পড়তে হয়েছে। যেমন, সঠিক সময়ে সিপিআর না দেওয়া ইত্যাদি। ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে ভর্তির প্রথম ১৪ দিনের মধ্যে ডেটা না পাওয়াও একটা প্রতিবন্ধকতা বলে মনে করছেন তাঁরা। গবেষকরা জানিয়েছেন, এতে কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের প্রকৃত হার বোঝা সম্ভব নয়। Representational Image
advertisement
তবে বেশির ভাগ রোগীকেই মৃত্যু বা হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়া পর্যন্ত পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে এবং সুষ্ঠুভাবে তার ডেটা নেওয়া হয়েছে। সব শেষে গবেষকরা এই সিদ্ধান্তে এসেছেন যে কোভিড রোগীদের ‘কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট’ হওয়া খুবই সাধারণ একটি বিষয় এবং সিপিআর দিলেও জীবন ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা খুব কম। Representational Image