সোনা-রুপোর গয়না এখন আরও ব্যয়বহুল। কেন্দ্রীয় বাজেটে সোনা, রুপো, প্ল্যাটিনামের মতো মূল্যবান ধাতুর উপর শুল্ক বৃদ্ধি করেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। তারপর থেকে গয়নার দাম আকাশ ছুঁয়েছে। শুধু তাই নয়, সোনার বার থেকে তৈরি সামগ্রীর উপরেও মৌলিক শুল্ক বাড়ানো হয়েছে। সব মিলিয়ে নাভিশ্বাস উঠছে মধ্যবিত্তের।
এবারের বাজেটে সোনার আমদানি শুল্ক বাড়ানো হয়নি। কারণ ২০২২ সালের জুলাই মাসেই ৭.৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১২.৫ শতাংশ করা হয়েছিল। ভারত সোনার চাহিদার বেশিরভাগটাই আমদানি করে। রুপোর উপর মৌলিক শুল্ক ৭.৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করা হয়েছে। আমদানির উপর কৃষি পরিকাঠামো এবং উন্নয়ন সেস ২.৫ শতাংশ থেকে বাড়ানো হয়েছে ৫ শতাংশ।
বাজেটের পর একটি প্রতিবেদনে ক্রিসিল বলেছে, ‘ইমিটেশন জুয়েলারিতেও আমদানি শুল্ক বেড়েছে। এর ফলে পণ্যের দাম বাড়বে। চাহিদাকে প্রভাবিত করবে’। বেশিরভাগ জুয়েলারি স্টকের শেয়ারের দামও পড়তির দিকে। পিসি জুয়েলার্স -৫.০১ শতাংশ, উদয় জুয়েলারি ইন্ডাস্ট্রিজ -১.৬৪ শতাংশ, কল্যাণ জুয়েলার্স -১.০৭ শতাংশ, ত্রিভোবনদাস ভীমজি জাভেরি -০.৯৬ শতাংশ, টাইটান -০.২৩ শতাংশ।
শিল্প সংস্থা জেম অ্যান্ড জুয়েলারি এক্সপোর্ট প্রমোশন কাউন্সিল (জিজেইপিসি) জানিয়েছে, তাদের তরফে সরকারের কাছে সোনা, রুপো এবং প্ল্যাটিনামে আমদানি শুল্ক কমানোর প্রস্তাব করা হয়। কিন্তু বাজেটে তা বিবেচনা করা হয়নি। তবে সরকারের সিদ্ধান্তের পাশে দাঁড়িয়েছে জিজেইপিসি। তাদের বক্তব্য, ‘কাউন্সিক শিল্পের সার্বিক বিকাশের জন্য সরকারের সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাবে’।