এই সহজ কৌশলে PPF-এর সুদ হবে দ্বিগুণ, ট্যাক্স বাঁচবে, হবে অর্থ সাশ্রয়ও
- Published by:Dolon Chattopadhyay
Last Updated:
আয়কর আইনের ৮০সি ধারার অধীনে পিপিএফ-এ বিনিয়োগের উপর ১.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত কর ছাড় পাওয়া যায়। এই বিনিয়োগকেই দ্বিগুণও করা যায়।
পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড বা পিপিএফ দুর্দান্ত বিনিয়োগ মাধ্যম। এতে ভাল সুদ তো মেলেই, কর সাশ্রয়ের সুবিধাও রয়েছে। বেশিরভাগ ভারতীয় তাই এই স্কিমে বিনিয়োগ করতে পছন্দ করেন। পিপিএফ-এর সবচেয়ে ভাল বিষয় হল, নিশ্চিত রিটার্নের সরকারি গ্যারান্টি। পাশাপাশি এই বিনিয়োগকে ই-ই-ই ক্যাটাগরিতে রাখা হয়েছে। এর অর্থ হল বিনিয়োগ, সুদ এবং ম্যাচিওরিটি-র অর্থ সম্পূর্ণ করমুক্ত।
advertisement
advertisement
advertisement
পিপিএফ-এ বিনিয়োগের সুবিধা: বিশেষজ্ঞরা বলেন, কোনও বিনিয়োগকারী তাঁর জীবনসঙ্গীর নামে পিপিএফ অ্যাকাউন্ট খুলে অন্য বিনিয়োগ বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। তাহলে পিপিএফ-এ বিনিয়োগের জন্য দুটি বিকল্প থাকছে। নিজের অ্যাকাউন্টে ১.৫ লাখ টাকা এবং জীবনসঙ্গীর অ্যাকাউন্টে আরও ১.৫ লাখ টাকা জমা করতে পারবেন। এইভাবে উভয় অ্যাকাউন্ট থেকেই আলাদা সুদ পাওয়া যাবে। একই সময়ে যে কোনও একটি অ্যাকাউন্ট থেকে ১.৫ লাখ টাকা পর্যন্ত কর ছাড়ের সুবিধাও মিলবে। এই ক্ষেত্রে, পিপিএফ বিনিয়োগের সীমা দ্বিগুণ হয়ে ৩ লক্ষ টাকা করা হবে। ই-ই-ই ক্যাটাগরিতে হওয়ায়, বিনিয়োগকারী পিপিএফের সুদ এবং পরিপক্কতার পরিমাণের উপর কর ছাড়ের সুবিধাও পাবেন।
advertisement
উভয় অ্যাকাউন্টে জমা টাকা ট্যাক্সমুক্ত: জীবনসঙ্গীর নামে খোলা পিপিএফ অ্যাকাউন্টে টাকা জমা করলে, উভয় অ্যাকাউন্টই করমুক্ত থাকবে। আয়করের ধারা ৬৪-এর অধীনে, স্ত্রীকে দেওয়া যে কোনও পরিমাণ বা উপহার থেকে আয় ব্যক্তির আয়ের সঙ্গে যোগ করা হয়। কিন্তু পিপিএফের ক্ষেত্রে, ক্লাবিংয়ের এই বিধানগুলি খাটে না। কারণ ই-ই-ই ক্যাটাগরির কারণে এটি সম্পূর্ণ করমুক্ত।
advertisement
এইভাবে বিবাহিত দম্পতিরা পিপিএফ-এ দ্বিগুণ সুদের সুবিধা নিতে পারেন। পরবর্তীতে যখন জীবনসঙ্গীর পিপিএফ অ্যাকাউন্ট ম্যাচিওর হবে, তখন সেই অ্যাকাউন্টের আয় এবং ব্যক্তির প্রাথমিক বিনিয়োগ থেকে আয়, বছরের পর বছর তাঁর ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে যোগ হতে থাকবে। প্রসঙ্গত, এপ্রিল-জুন ত্রৈমাসিকের জন্য পিপিএফ-এর সুদের হার ৭.১ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।