West Midnapore News: ডেঙ্গু-করোনা অতীত, মেডিক্যালে নতুন রোগ নিয়ে শিশু রোগীদের ভিড়ে বাড়ছে আতঙ্ক!
Last Updated:
এই মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি চিন্তা বাড়াচ্ছে স্ক্রাব টাইফাস। মেদিনীপুর মেডিক্যালে সংখ্যা বাড়ছে শিশু রোগীদের। (West Midnapore News)
#পশ্চিম মেদিনীপুর: গত বছরের মতো না হলেও, অগাস্ট মাস পড়তেই শিশুদের জ্বর-সর্দি-কাশি-বমির প্রকোপ বেড়েছে। এক-দু' সপ্তাহ আগেও মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের শিশু বিভাগে জায়গা দেওয়া প্রায় মুশকিল হয়ে পড়েছিল। ধীরে ধীরে রোগীর চাপ কিছুটা কমছে বলে রবিবার জানিয়েছেন মেডিক্যালের শিশু বিভাগের প্রধান ডাঃ তারাপদ ঘোষ। তবে, কিছুটা কমলেও এখনও গড়ে প্রতিদিন ১৫-২০ জন শিশু ভর্তি হচ্ছে জ্বর নিয়ে।
শিশু বিভাগের প্রায় ১০০-টি শয্যা (নিকু-পিকু সহ)-ই ভর্তি থাকছে সবসময়। তবে, সব থেকে বেশি দুশ্চিন্তা এখন স্ক্রাব টাইফাস-কে নিয়ে। ডাঃ ঘোষ জানালেন, "বেশিরভাগ শিশুরই জ্বর-সর্দি-কাশি আর তার সঙ্গে কারোর কারোর বমি'র উপসর্গ। এবার, আর এস ভাইরাসের প্রভাব তুলনায় কম। তাই, শ্বাসকষ্টে প্রকোপ খুব কম শিশুর ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে। টেস্ট করলে, অনেকেরই আবার কোভিড ধরা পড়ছে। তবে, উপসর্গ খুব সাধারণ। এই সব ক্ষেত্রে ৪-৫ দিনের মধ্যেই শিশুরা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে বাড়াবাড়ি অবশ্যই হচ্ছে। তাদের ক্ষেত্রে এমআইএস-সি অর্থাৎ Multisystem inflammatory syndrome in Children ধরা পড়ছে। সেক্ষেত্রে পরিস্থিতি একটু সঙ্কটজনক হয়ে যাচ্ছে। জটিল চিকিৎসা ও মহার্ঘ হিমোগ্লোবিন ইঞ্জেকশনের প্রয়োজন হচ্ছে। তবে, সুচিকিৎসার মাধ্যমে বেশিরভাগ শিশুই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছে।"
advertisement
আরও পড়ুন: গোয়ালঘর থেকে গায়েব সাত-সাতটি গরু, পাচার যোগ সন্দেহে তোলপাড় বাঁকুড়ায়
আক্রন্তদের উপসর্গ মোটামুটি ডেঙ্গু বা ইনফ্লুয়েঞ্জা'র মতোই। জ্বর, বমি, শরীরে অসহ্য যন্ত্রণা। টেস্ট করার পর ধরা পড়লে, প্রয়োজনীয় ওষুধের প্রয়োগে ৫-৭ দিনের মধ্যেই শিশু সুস্থ হয়ে যাচ্ছে। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ সৌম্যশঙ্কর সারেঙ্গী জানিয়েছেন, "এখন প্রতিদিন ৭-৮ জন করে করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন। তার মধ্যে মাঝেমধ্যে ২-১ টি শিশু থাকছে। কিন্তু, কোনও ক্ষেত্রেই বাড়াবাড়ি সেরকম হচ্ছে না! চলতি মরশুমে ডেঙ্গুতে ৩৪ ও ম্যালেরিয়া-তে ২৯ জন সংক্রমিত হয়েছেন এবং সকলেই এই মুহূর্তে সুস্থ হয়ে উঠেছেন।"
advertisement
advertisement
আরও পড়ুন: প্রথমে গুলি, মৃত্যু নিশ্চিত করতে এলোপাথাড়ি কোপ! বেলডাঙায় তৃণমূল কর্মী খুন
এবার, এক নজরে জেনে নিন এই স্ক্রাব টাইফাস (Scrub Typhus) সম্পর্কে- মূলত, বর্ষাকালে জলাজমি এবং ঝোপঝাড় থেকে একধরনের পোকা বা মাকড়ের কামড়ে স্ক্রাব টাইফাসে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ঘটতে পারে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে রক্ত পরীক্ষার আগে পর্যন্ত বোঝাই যায়না জ্বরের কারণ। ট্রম্বিকিউলিড মাইটস বা টিকের (Tick) মতো পরজীবী মাকড়ের কামড় থেকে এই এই রোগের জীবাণু ছড়ায়। ট্রম্বিকিউলিড মাইটস টিকের আকার ০.২ মিলিমিটার থেকে ০.৪ মিলিমিটার পর্যন্ত হয়। স্ক্রাব টাইফাস একটি ব্যাকটেরিয়াঘটিত রোগ। ব্যাকটেরিয়ার নাম- 'Orientia Tsutsugamushi'। স্ক্রাব টাইফাসের জীবাণু শরীরে প্রবেশ করার পর জ্বর আসে। জ্বরের তাপমাত্রা কখনও কখনও ১০৩ ছাড়িয়ে যায়। প্রথম সপ্তাহ কাটে জ্বর, বমি ও শরীরে ব্যথা শুরু হয়। চোখের পিছনের অংশেও যন্ত্রণা হয়। ভয়াবহ আকার নেয় দ্বিতীয় সপ্তাহে। স্ক্রাব টাইফাস-এর প্রকোপে বিভিন্ন অঙ্গ বিকল হতে থাকে। শুরুতেই চিকিৎসা না হলে পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যায়!
advertisement
পার্থ মুখোপাধ্যায়
Location :
First Published :
August 26, 2022 1:32 PM IST
বাংলা খবর/ খবর/পশ্চিম মেদিনীপুর/
West Midnapore News: ডেঙ্গু-করোনা অতীত, মেডিক্যালে নতুন রোগ নিয়ে শিশু রোগীদের ভিড়ে বাড়ছে আতঙ্ক!