রঞ্জন চন্দ, সবং, পশ্চিম মেদিনীপুর: এ বাংলার অলিগলিতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে নানা অজানা ইতিহাস। প্রান্তিক এলাকার আনাচে-কানাচে রয়েছে সংস্কৃতির পরম্পরা। বাজারে বিক্রি হওয়া বড়ির পিছনে রয়েছে মস্ত একটা গল্প। তবে প্যাকেটজাত বড়ি বাজারে পাওয়া গেলেও বাজারে অমিল গহনা বড়ি বা গয়না বড়ি। তবে গ্রামের দিকে কোন উপলক্ষ না থাকলেও হেঁসেলে প্রবেশ করে গয়নাবড়ি। যা দেখতে গয়নার মতো। পশ্চিম মেদিনীপুরের সবং-এর বিভিন্ন গ্রামের বেশ কয়েকটি পরিবার এখনও গয়নাবড়ি প্রস্তুত করেন।
কীভাবে প্রস্তুত করা হয় এই গয়না বড়ি? প্রথমে খোসা ছাড়ানো বিউলিডালকে এক রাত জলে ভিজিয়ে রাখতে হবে। পরের দিন ভেজানো কলাই বেটে নিয়ে তাতে পরিমাণ মতো লবণ, লঙ্কাগুঁড়ো-সহ নানা উপকরণ মিশিয়ে গয়নার মত আকারে তৈরি করা হয় এই গয়না বড়ি। বড়ি দেওয়ার সময় থালার উপরে পোস্ত বা পাতলা করে তিলের আস্তরণ দেওয়া হয়। তিল থেকে পোস্তর স্বাদ বেশি ভাল। বর্তমানে বাজারে বিক্রি হয় ছোট ছোট গোল গোল বড়ি। কিন্তু গ্রামীণ এলাকার মহিলারা বিভিন্ন নক্সার গয়না বড়ি তৈরি করেন।
আরও পড়ুন : অমানবিক দৃশ্য কাঁচরাপাড়ায়, খাবারের সন্ধানে ঘুরে বেড়াচ্ছে দুই আশ্রয়হীন অসুস্থ ঘোড়া
বংশ-পরম্পরায় এই ঐতিহ্য কে ধরে রেখেছে গ্রামের মানুষজন। দেখতে যেমন সুন্দর তেমনি খেতেও বেশ সুস্বাদু। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর, নন্দলাল বসু,-সহ বহু প্রখ্যাত মনীষী এই বড়ির স্বাদে মুগ্ধ ছিলেন।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: West Midnapore