পশ্চিম মেদিনীপুর: কখনও মানুষের আনন্দ আবার কখনো অসচেতনতা যার কারণে ধ্বংস হচ্ছে কিলোমিটারের পর কিলোমিটার সবুজ অরণ্য। শীতের শেষে পশ্চিম মেদিনীপুর ঝাড়গ্রামের বিস্তীর্ণ বনাঞ্চলে লাগানো হচ্ছে আগুন। মানুষ আজ ধ্বংসযুদ্ধের খেলায় মেতেছে কখনও মজার ছলে জঙ্গলে পড়ে থাকা শুকনো পাতায় আগুন লাগিয়ে দিচ্ছেন তারা।
যে কারণে জঙ্গলের মধ্যে থাকা বিপদজনক হয়ে উঠছে হাতি সহ অন্যান্য পশুপাখিদের।বর্তমানে লোকালয় হাতির হানা প্রায়ই দেখা যায়। তার প্রধান কারণ নগরায়ন ও মানুষের আনন্দের জন্য জঙ্গলে লাগানো আগুন। তাই পরিবেশ বাঁচানোর আহ্বান নিয়ে সরব হয়েছেন পরিবেশপ্রেমীরা।
আরও পড়ুন- ভয়ানক দুর্ঘটনা! বিধ্বংসী আগুনে পুড়ে ছাই বেশ কয়েকটি বাড়িপশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়ি গুড়গুড়ি পাল সহ খড়গপুরের বিস্তীর্ণ এলাকায় শাল গাছের বন রয়েছে। শীতের শেষ সময় শাল গাছের শুকনো পাতা ছড়িয়ে পড়ে বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে। আর সেই শুকনো পাতায় কেউবা কারা আগুন লাগিয়ে দিচ্ছে। যার ফলে পুড়ে ছাই হচ্ছে কিলোমিটারের পর কিলোমিটার বনাঞ্চল।
আরও পড়ুন- 'নুন আনতে পান্তা ফুরায়', বাঁশি সুর হারিয়ে যাচ্ছে অভাবের অন্ধকারেপ্রসঙ্গত দিন কয়েক আগেই একটি দলছুট হাতি কেশিয়াড়ি ঝাড়গ্রামের নয়াগ্রাম সহ বিভিন্ন এলাকায় নষ্ট করেছে চাষের জমি। জঙ্গল ছেড়ে লোকালয়ের আসার প্রধান দুটি কারণ জঙ্গলে খাদ্যাভাব এবং জঙ্গলের আগুন।
পরিবেশপ্রেমীদের বক্তব্য সভ্যতা উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের মানসিকতার পরিবর্তনেরও প্রয়োজন যার ফলে বাঁচানো যাবে সবুজকে এবং অরণ্যের জীবজন্তুদের।
Ranjan Chanda
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।