Success Story: বাবা চাষাবাদ করে সংসার চালান, মাটির ঘর থেকে স্বপ্ন দেখা, দেশকে সোনা এনে দিলেন শান্তি

Last Updated:

Success Story: অভাবের সংসারে আসার আলো, পুষ্টিকর খাবার না পেয়েও আন্তর্জাতিক মঞ্চে প্রথম স্থান প্রত্যন্ত গ্রামের মেয়ের। এশিয়ান পাওয়ার লিফটিং চ্যাম্পিয়নশিপে সোনা জয় মেদিনীপুরের শান্তি দাসের।

+
শান্তি

শান্তি দাস

পশ্চিম মেদিনীপুর: প্রত্যন্ত গ্রাম, সামান্য মাটির বাড়ি। বাড়িতে নুন আনতে পান্তা ফুরানোর অবস্থা। সামান্য চাষাবাদ করেই মেয়েকে ভর্তি করেছেন কলেজে। তবে মেয়ের লক্ষ্য বিদেশের মঞ্চে নিজের দেশকে প্রতিষ্ঠা করে। পুষ্টিকর খাবার না পেলেও, নিজের জেদ এবং কঠোর পরিশ্রমে সম্প্রতি আন্তর্জাতিক মঞ্চে একাধিক দেশের প্রতিযোগীদের হারিয়ে সোনা জয় করেছে প্রত্যন্ত গ্রামের এই মেয়ে।
নেপালের কাঠমান্ডুতে আয়োজিত এশিয়ান পাওয়ার লিফটিং চ্যাম্পিয়নশিপে বিভিন্ন তাবড় তাবড় দেশের প্রতিনিধিদের হারিয়ে প্রথম স্থান অধিকার করেছে মেদিনীপুর কলেজের তৃতীয় বর্ষের এই ছাত্রী। আন্তর্জাতিক মঞ্চে নিজের এই কৃতিত্বে একদিকে যেমন নিজে খুশি তেমনই পরিবারে আনন্দের আবহ।
advertisement
advertisement
সামান্য নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্ম। পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড় ব্লকের অর্জুনী গ্রামের কৃতি কন্যা শান্তি দাস। উচ্চ মাধ্যমিক দেওয়ার পর মেদিনীপুর কলেজে ভর্তি হয় সে। বাড়িতে আর্থিক স্বচ্ছলতা না থাকলেও, নিজের ইচ্ছেতেই এবং পরিশ্রমে মেদিনীপুরের একটি ক্লাবে পাওয়ার লিফটিং অনুশীলন করত সে। মাত্র দু বছরের প্রশিক্ষণ একাধিকবার রাজ্য, জাতীয় স্তর এবং সম্প্রতি এশিয়ান পাওয়ার লিফটিং চ্যাম্পিয়নশিপে একাধিক প্রতিযোগীদের হারিয়ে সোনা জয় করে জেলার নাম উজ্জ্বল করেছে সে।
advertisement
হাতে ভারি ভারি ডাম্বেল, চোয়াল শক্ত করে নেপালের কাঠমান্ডুতে আয়োজিত এশিয়ান পাওয়ার লিফটিং চ্যাম্পিয়নশিপে ১২০ কেজি ভর উত্তোলন করে অন্যান্য প্রতিযোগীদের হারিয়ে প্রথম স্থান অধিকার করেছে সে। শান্তির বাবা সামান্য চাষাবাদ করেই সংসার চালান। বাড়িতে রয়েছে শান্তির মা এবং বড় দাদাও। পড়াশোনার খরচ যোগাতে হিমশিম খেতে হয় বাবা-মাকে। অন্যদিকে খেলার খরচ কখনও শান্তি নিজে আবার কখনও অন্যদের থেকে চেয়েমেগে চলে। তবে তার ইচ্ছে আগামীতে ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপে অংশগ্রহণ করা। সম্প্রতি এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে মেদিনীপুর থেকে পাঁচ জন প্রতিযোগী অংশ নিলেছিল বিভিন্ন বিভাগে, পাঁচ জনই সোনা জয় করেছে।
advertisement
কষ্ট করে বড় হয়ে ওঠা, এক চিলতে মাটির বাড়ি থেকে স্বপ্ন দেখা সারা দেশের কাছে ভারতের তিরঙ্গাকে প্রতিষ্ঠা করা। মধ্যবিত্ত পরিবারে আশার আলো জাগিয়েছে এই কন্যাশ্রী। তার এই সফলতায় খুশি গ্রামের সকলে। তারাও চান এই মেয়েকে সহযোগিতা করতে। তবে সম্পূর্ণ নিজের জেদ এবং ইচ্ছেতে ও কঠোর পরিশ্রমে মিলেছে এই সফলতা। পরিবারে খুশির আমেজ।
advertisement
Ranjan Chanda
view comments
বাংলা খবর/ খবর/খেলা/
Success Story: বাবা চাষাবাদ করে সংসার চালান, মাটির ঘর থেকে স্বপ্ন দেখা, দেশকে সোনা এনে দিলেন শান্তি
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement