#মস্কো: কোনো প্রীতি ম্যাচে ব্যবহার করা যাবে না জাতীয় পতাকা, বাজানো হবে না জাতীয় সংগীত- গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলার পর রাশিয়াকে প্রাথমিকভাবে এমন শাস্তি দিয়েছিল ফিফা। এরপর ২৮ ফেব্রুয়ারি ফুটবলের অভিভাবক সংস্থা ফিফা এবং ইউরোপীয় ফুটবলের অভিভাবক সংস্থা উয়েফা যৌথ বিবৃতিতে রাশিয়াকে সবরকম প্রতিযোগিতা থেকে বহিষ্কার করে। এবার ফিফা ও উয়েফার বিরুদ্ধে কোর্ট অব আরবিট্রেশন ফর স্পোর্টসে (সিএএস) মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাশিয়ান ফুটবল ইউনিয়ন (আরএফইউ)।
এক বিবৃতিতে আরএফইউ জানায়, রাশিয়ার পুরুষ ও নারী দলকে সবরকম প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ নিশ্চিতের জন্য আমরা সিএএসে মামলা করব। বহিষ্কার ছাড়া অন্য কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা কখনও তারা (ফিফা এবং ইউয়েফা) ভাবেনি। রাশিয়ার সদস্যপদ বাতিল করার মতো কোনো আইনি অধিকার তাদের নেই। আগামী ২৪ মার্চ পোল্যান্ডের বিপক্ষে বিশ্বকাপ প্লে-অফের বাছাইপর্বের সেমিফাইনাল ম্যাচ খেলার কথা রয়েছে রাশিয়ার।
কিন্তু ফিফা তাদের বহিষ্কার করায় সেই ম্যাচ হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। যেখানে স্পোর্টসের মূলনীতির লঙ্ঘন হয়েছে বলে মনে করে রাশিয়ান ফুটবল সংস্থাটি। একই সঙ্গে মৌলিক অধিকার ক্ষুণ্নের দায়ে ফিফা ও উয়েফার বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণের মামলাও করবে আরএফইউ।
কিন্তু মজার ব্যাপার হচ্ছে ফিফা এবং উয়েফা প্রথমেই রাশিয়াকে বিশ্বকাপ থেকে নির্বাসিত করার সিদ্ধান্ত নিতে রাজি ছিল না। সুইডেন, পোল্যান্ড, চেক রিপাবলিকদের মত দেশ স্পষ্ট জানিয়ে দেয় তারা রুশ দলের বিরুদ্ধে খেলবে না। নিউট্রাল মাঠেও নয়। তাছাড়া ইংল্যান্ড এবং ফ্রান্সের মত শক্তিশালী ফুটবল ফেডারেশনগুলোর পরোক্ষ চাপ ছিল উয়েফার ওপর।
উল্লেখ্য ২০১৮ বিশ্বকাপ সফলভাবে আয়োজন করেছিল রাশিয়া। এবারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনাল অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল সেন্ট পিটার্সবার্গে। সেটা সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে প্যারিসে। এখানেই থেমে থাকেনি রুশ ফুটবল ইউনিয়ন। এই নিষেধাজ্ঞার কারণে রাশিয়ান ফুটবলের আর্থিক ক্ষতি মিটিয়ে দিতে বলেছে তারা।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Fifa, Russia Ukraine Crisis