#গোয়া: বাজেগি সিটি, উরেগা বল, কাম অন ইন্ডিয়া, লেটস ফুটবল। দুরন্ত জনপ্রিয় হওয়া এই ফুটবল জিংগেল স্বপ্ন দেখিয়েছিল ভারতীয় ফুটবলের নবজাগরণের। জঘন্য মাঠ, ততোধিক জঘন্য সম্প্রচার, আরো জঘন্য দর্শকদের জন্য ব্যবস্থা। প্রায় জং ধরে যাওয়া ভারতীয় ফুটবল নতুন অক্সিজেন পেয়েছিল আইএসএলের আবির্ভাবে।
আরও পড়ুন - Ashes 2021 -22: অ্যাশেজে নয় উইকেটে হারের প্রতিশোধ ব্র্যাডম্যানের শহরে নিতে চায় ইংল্যান্ড
সবুজ গালিচার মত মাঠ, ঝকঝকে সম্প্রচার, স্টেডিয়ামে আধুনিক ব্যবস্থা। ব্যর্থতার কানাগলি থেকে এক লাফে সাফল্যের হাইওয়েতে পৌঁছে গিয়েছিল দেশের ফুটবল। ফুটবলারদের পারিশ্রমিক তিনগুণ। অনেকটাই বেড়েছে রেফারিদের পারিশ্রমিক। খেলার মান কিছুটা হলেও বেড়েছে। কিন্তু মুখ পড়িয়েছে জঘন্য রেফারিং(Poor refereeing in ISL) । একটা মরশুম নয়, প্রতিবার একই ঘটনা।
রেফারিরা এমন এমন ভুল করছেন চোখে দেখা যায় না। ফেডারেশনের টুর্নামেন্ট সংখ্যা এখন মাত্র দু’টি। তাই ভারতের অন্য প্রান্তের জাতীয় রেফারিরা কোভিড পরবর্তী পর্বে তেমন ম্যাচ খেলানোর সুযোগ পাচ্ছেন না। তাই পেরিফেরাল ভিউয়ের পাশাপাশি ফিটনেসেও দেখা যাচ্ছে ঘাটতি। আইএসএলে প্রতি বছরই রেফারিরা চর্চার কেন্দ্রে থাকেন। এবার তাঁদের দুর্বলতা আরও বেশি চোখে পড়ছে।
টিভির পর্দায় মোহন বাগান ও ইস্টবেঙ্গলের ম্যাচ ফুটবলপ্রেমীরা অত্যন্ত মনোযোগের সঙ্গে দেখেন। তাই এই দু’টি দলের ম্যাচে নিম্নমানের রেফারিং নিয়ে বেশি চর্চা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত ক্রিস্টাল জন ও প্রাঞ্জল ব্যানার্জি ছাড়া আর কাউকে স্মার্ট রেফারিং করতে দেখা যাচ্ছে না। সিআর কৃষ্ণ, হরিশ কুন্ডু, আর ভেঙ্কটেশ, প্রতীক মন্ডল, রাহুল কুমার গুপ্তা - এই রেফারিরা একটা গোটা ম্যাচ সঠিকভাবে খেলিয়েছেন বলা যাচ্ছে না।
প্রাক্তন ফিফা রেফারি প্রদীপ নাগ মনে করেন ভার প্রযুক্তি প্রয়োগ করা খরচসাপেক্ষ। কিন্তু গোললাইনের পিছনে দু’জন সহকারী রেফারি রাখা উচিত। তাহলে বলের গোললাইন অতিক্রম করা কিংবা সেটপিসের সময়ে বক্সে কে বা কারা মারপিট করছে তা বুঝতে সুবিধা হয়। চলতি আইএসএলে রেফারিংয়ের মান মোটেই আশাপ্রদ নয়। প্রায় প্রতিটি ম্যাচেই ভুল করছেন রেফারিরা।
স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে বিশেষজ্ঞ মহলে। আগামী মরশুম থেকে বিদেশি রেফারি ব্যবহারের কথাও বলছেন অনেকে। কিন্তু আইএসএল গত দু'বছর ধরে করোনা পরিস্থিতির মধ্যে করতে হচ্ছে। মাঠের দর্শক আসতে পারছেন না। ফলে টিকিট বিক্রি নেই। গেট সেল থেকে লাভ বন্ধ। টিভি সম্প্রচার মূল্য এবং বিজ্ঞাপনেট দাম আগের থেকে কমেছে। বিদেশি রেফারি আনা তাই যুক্তিযুক্ত নয়।
ফেডারেশন রেফারিদের জন্য বিশেষ ওয়ার্কশপ আয়োজন করতে পারে। ডিসেম্বরের প্রথম দিন। এটিকে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে মুম্বই সিটি এফসি’র স্ট্রাইকার বিক্রমপ্রতাপ সিংয়ের হাতে লেগে বল জালে জড়ায়। এরপর মুম্বইয়ের ডিফেন্ডার মোর্তাদা ফল অফ-সাইডে থেকে গোল করেছিলেন। দু’টি ঘটনাই রেফারি শ্রীকৃষ্ণের চোখ এড়িয়ে গিয়েছে।
ওই একই ম্যাচে রেফারি মোহন বাগানের দীপক টাংরিকে লঘু পাপে গুরুদণ্ড দিয়েছিলেন। সরাসরি তাঁকে লাল কার্ড দেখানো হয়। এটিকে মোহনবাগান ফেডারেশন রেফারিজ বোর্ডের কাছে ঘটনার ভিডিও ক্লিপিংস পাঠিয়ে সুবিচার চায়। দু’টির পরিবর্তে একটি ম্যাচে সাসপেন্ড করা হয় দীপক টাংরিকে। যা প্রমাণ করে, রেফারি সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে ব্যর্থ। বাজে রেফারিং ভুগতে হয়েছে ইস্টবেঙ্গলকেও। বিভিন্ন ক্লাবের তরফ থেকে তাই আইএসএল রেফারিং নিয়ে ক্ষোভ বেড়েই চলেছে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: ISL 2021-22