#গোয়া: ক্লাবের শতবর্ষ পেরিয়ে কিছুটা সময় এগিয়েছে। কিন্তু কোনওরকম উন্নতি হয়নি এস সি ইস্টবেঙ্গলের। ব্যর্থতা আর হতাশা ছায়াসঙ্গী গোটা মরশুম জুড়ে। এমনিতেও লাল-হলুদের পক্ষে এ বছরটা খুব ভাল ফল আশা করেননি অতি বড় সমর্থক। শেষ মুহূর্তে আইএসএল প্রতিযোগিতায় ঢোকা, মাত্র দুই সপ্তাহের অনুশীলন শেষে মাঠে নেমে পড়া, ফুটবল বিজ্ঞান ভুল প্রমাণিত হত যদি এই দলটা চ্যাম্পিয়নশিপের দৌড়ে থাকত। কিন্তু তাই বলে নয় নম্বরে থাকার কথাও নয়। কোচ রবি ফাওলার এতগুলো ম্যাচ হয়ে যাওয়ার পরও দল সেট করতে ব্যর্থ। একমাত্র ব্রাইট এবং কিছুটা স্টেনম্যান ছাড়া বাকি সব বিদেশি চূড়ান্ত ব্যর্থ।
বলবন্ত, জেজে, বিনিথদের মত ভারতীয় স্ট্রাইকারদের দলে নিয়েছিল লাল হলুদ। তাঁরা হতাশ করেছেন। তাছাড়া সামাদ, অভিষেক, ইরশাদ, পিন্টুদের মত ফুটবলারকে ছেড়ে দিয়ে ব্রিটিশ কোচ ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সন্দেহ নেই। তার ওপর তিনি বড্ড বেশি বিতর্কে জড়িয়ে নিজের দলের ক্ষতি করেছেন। এতে ছেলেদের ফোকাস নষ্ট হওয়াটা স্বাভাবিক। শনিবার লাস্ট বয় ওড়িশার বিরুদ্ধে খেলতে নামছে নবম স্থানে থাকা এস সি ইস্টবেঙ্গল।
এই পর্যায়ে জেতা, হারা মূল্যহীন। তবুও নিজেদের সম্মান রক্ষার জন্য এবং সমর্থকদের আনন্দ দেওয়ার জন্য লাল-হলুদ শিবির এই ম্যাচটা জিততে মরিয়া। ইস্টবেঙ্গল নিজেদের কিছুটা সম্মান ফিরে পেত যদি ফিরতি বড় ম্যাচে ভাল ফল করতে পারত। কিন্তু সেটাও পারেনি তাঁরা। নর্থইস্ট ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে শেষ ম্যাচেও হারতে হয়েছে রফিক, রাজুদের। ওড়িশা নিজেদের শেষ ম্যাচে মুম্বই সিটি এফসির বিরুদ্ধে হাফ ডজন গোল হজম করেছে। একমাত্র ব্রাজিলীয় ফুটবলার দিয়েগো মরিসিও ছাড়া সবাই ফ্লপ। এই মুহূর্তে দায়িত্বে আনা হয়েছে প্রাক্তন ভারতীয় ফুটবলার স্টিফেন ডায়াসকে।
প্রথম সাক্ষাতে ওড়িশাকে তিন এক ব্যবধানে হারিয়েছিল লাল হলুদ। শুনতে বাজে লাগলেও আসলে এই ম্যাচটা যেন দুটো অন্যতম খারাপ খেলা দলের লড়াই। চার ম্যাচ নির্বাসিত থাকার পর এই ম্যাচে ডাগ আউটে দেখা যাবে কোচ রবি ফাওলারকে। তবুও সব ভাল যার শেষ ভাল, এই মন্ত্রে শেষটা স্মরণীয় করে রাখতে পারে কিনা মশাল বাহিনী সেটাই দেখার। প্রথম থেকেই বড় ব্যবধানে জেতার লক্ষ্য নিয়ে ম্যাচে নামবে ইস্টবেঙ্গল এমনটাই শোনা যাচ্ছে।