পাহাড়ে সবুজ-মেরুন সাইক্লোন, খেতাবের আরও কাছে মোহনবাগান

Last Updated:

তুরসভের লালকার্ড।১০ জনেও পাহাড়ে অনবদ্য মোহনবাগান।কিবু জমানায় ফুল ফোটাচ্ছেন বেইতিয়ারা।

মোহনবাগান (৩) --- ট্রাউ (১)
#ইম্ফল : দরকার মতো খেলাটাকে ছড়ানো। আবার গুটিয়ে আনা  ফানেলের মত। কিবু জমানায় অপ্রতিরোধ্য মোহনবাগান। পাহাড়ে অব্যাহত রইল সবুজ মেরুন সাইক্লোন। ট্রাউ ম্যাচেও দুরন্ত শুরু বেইতিয়াদের। ম‍্যাচের শুরু থেকেই প্রতিপক্ষের ওপর রোলার-কোস্টার চালিয়ে দেওয়া কিবুর একেবারে নিজস্ব স্টাইল। ট্রাউয়ের বিরুদ্ধেও সেই স্ট্র্যাটিজিতেই ৩ পয়েন্ট ঘরে তুলে নিল মোহনবাগান।
advertisement
ইম্ফলের খুমান স্টেডিয়ামে প্রথম ২৩ মিনিটে ৩ গোল। নেরোকা-কে ৬ গোল, চার্চিল-কে ৩ দেওয়া পাপা বেইতিয়ারা রবিবার কোথায় থামবেন, সেই নিয়ে গ্যালারিতে চর্চার মাঝেই ৩৫ মিনিটে ম‍্যাচের গতির বিরুদ্ধে গোল খেলো বাগান রক্ষণ। আর ঝুঁকি নেননি কিবু ভিকুনা। ঝটপট ডিফেন্সের ঝাঁপ ফেলে দেন অভিজ্ঞ স্পানিয়ার্ড। চ্যাম্পিয়নশিপ মুঠোয় থাকলে কে আর বেফালতু ঝুঁকি নেয়! কিবুও নেননি। স্কোরলাইন তখন ৩-১। বাকি সময়টা বল দখলে রেখে পজেশনাল ফুটবল খেলল মোহনবাগান। ১৪ ম্যাচে ৩৫ পয়েন্ট নিয়ে খেতাবের আরো কাছে পৌঁছে গেল বেইতিয়া, গঞ্জালেজরা।
advertisement
advertisement
১৮ মিনিটে গঞ্জালেজের পেনাল্টি গোল দিয়ে শুরু। ২২ মিনিটে ব্যবধান বাড়ান বেইতিয়া। পরের মিনিটেই পাপার গোল। পাহাড়ের মাঠে তখন ফুল ফোটাচ্ছে সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। পুরো দলটাই তেল খাওয়া মেশিন যেন! কাকে ছেড়ে কার কথা বলবেন! কার্ড সমস্যায় বাইরে থাকা আশুতোষ মেহতার পরিবর্ত হিসেবে নেমেছিলেন চুলোভা। বহুদিন পর চুলোভার খেলায় পুরনো দাপট। শেখ সাহিল বরাবরই ভাল। গোলের নিচে যেন নবজন্ম হয়েছে শংকর রায়ের। উচ্চতা কম বলে অনেকেই শঙ্করকে নিয়ে নাক কোচকান। নাগেরবাজার শঙ্কর দুরন্ত রিফ্লেক্স আর মনের জোরে ঢেকে দিয়েছেন সব ঘাটতি। শেখ সাহিল, শুভ ঘোষদের পাশে শঙ্কর এই মরসুমে বাগানের বড় পাওনা। নাওরেমের জন্য তো কোন প্রশংসাই যথেষ্ট নয়। আই লিগে সেরা ভারতীয় ফুটবলারের নাম নংদোম্বা নাওরেম। বছর কুড়ির ছেলেটা বল নিয়ে যা খুশি করতে পারেন। বেইতিয়া, গঞ্জালেজদের পাশে পেয়ে নিজেকে আরও মেলে ধরেছেন মনিপুরী মিডিও।
advertisement
৭০ মিনিটে লাল কার্ড দেখে তুরসভ বেরিয়ে যাওয়ার পরেও বাগান মাঝমাঠ তাই নির্বিকার। সুহের, বাবারা প্রতিপক্ষের অ্যাটাকিং থার্ডে ঝলমল করার পাশে নিজেদের বক্সে নেমে বল ক্লিয়ারেন্সেও সমান সাবলীল। ফলে ২০ মিনিট দশজনে খেলেও অনায়াসে ম্যাচ উত্তর দিতে পারেন কিবুর ছেলেরা। কাজটা বরং কঠিন হয়ে গেল এটিকে-মোহনবাগান ম্যানেজমেন্টের। পরের মরশুমে কিবু কিংবা হামাসের মধ্যে একজনকে বাছার কঠিন দায়িত্ব তো তাদের ওপর। বাগানের পরের দুই ম্যাচ ঘরের মাঠে। ১৫ মার্চ যুবভারতীতে ফিরতি ডার্বির টিম কম্বিনেশন পরখ করে নেওয়ার জন্য আদর্শ প্রতিপক্ষ। ৫ মার্চ কল্যাণীতে বেইতিয়ারা খেলবেন চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে। ১০ মার্চ কল্যাণীতে  বাগানের প্রতিপক্ষ আইজল এফসি।
advertisement
Paradip Ghosh
বাংলা খবর/ খবর/খেলা/
পাহাড়ে সবুজ-মেরুন সাইক্লোন, খেতাবের আরও কাছে মোহনবাগান
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement