#বুয়েনোস আয়ার্স: স্বপ্ন পূরণ হয়েছে আর্জেন্টিনার। একটা সময় লাতিন আমেরিকার বুকে সবচেয়ে প্রতিপত্তিশালী দেশ হিসেবে ধরা হত আর্জেন্টিনাকে। কিন্তু দেশের অর্থনীতি বিগত কয়েক বছর ধরে তলানীতে ঠেকেছে। মানুষের জীবন ধারণের মান নীচে নেমে গিয়েছে। তুলনায় দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্র ব্রাজিল এবং চিলির অর্থনীতি এখন অনেকটাই এগিয়ে। বিশ্বের কাছে আর্জেন্টিনার পরিচয় দিয়েগো মারাদোনা, ভিক্টোরিয়া ওকাম্পো, এভিটা পেরনদের জন্য যতটা ছিল, এখন লিওনেল মেসির জন্য ঠিক ততটাই গর্ব বোধ করছেন আর্জেন্টাইনরা।
রবিবার কোপা আমেরিকার ট্রফি নিয়ে দেশে ফিরেছে আর্জেন্টিনা। লিওনেল মেসির উত্থান-পতন খুব কাছ থেকে দেখেছেন স্ত্রী আন্তনেল্লা রোকুজ্জো। সবসময় আর্জেন্টাইন তারকার ছায়া হয়ে সঙ্গে মিশেছিলেন তিনি। ক্লাব ক্যারিয়ারে মেসির অর্জন নিয়ে সময়ই গর্ব করেন রোকুজ্জো। তবে আর্জেন্টিনার জার্সিতে মেসির শূন্য হাত কখনোই পছন্দ করতেন না তিনি। অবশেষে তার সেই আক্ষেপ ঘুচল। এবারের কোপা জিতে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা আর্জেন্টিনার সমর্থকদের পাশাপাশি মেসি হাসি ফুটিয়েছেন নিজ পরিবারেও।
তাইতো দেশে ফেরার পর রোকুজ্জোর তাকে অভিবাদন জানানোর তর সইছিল না। ব্রাজিল থেকে রবিবারই দেশে ফেরেন মেসিরা। বিমানবন্দরে হাজির হয়ে গিয়েছিলেন রোকুজ্জো। মেসিকে সামনে পেয়ে দৌঁড়ে কোলে উঠে যান। প্রিয় মানুষকে কাছে পেয়ে আত্মহারা রোকুজ্জো, চুমু এঁকে দেন জাতীয় বীরকে। দীর্ঘ ২৮ বছরের খরা কেটে যাওয়াই আর্জেন্টিনায় উৎসব চলছে। বিমানবন্দর থেকে মেসিদের তোলা হয় ‘চ্যাম্পিয়ন’ লেখা দুটি বাসে।
সেই বাসে করে পুরো বুয়েন্স আয়ার্স প্রদক্ষিণ করেন মেসিরা। পথের ধারে দাঁড়িয়ে হাজার হাজার মানুষ অভিনন্দন জানালেন মেসিদের। তবে সেই আনন্দের দিনে তারা ভুলে যাননি দিয়েগো ম্যারাডোনাকে। ফুটবল ঈশ্বরের ছবি নিয়েই আনন্দ-উৎসব করছেন আর্জেন্টাইনরা। ২৮ বছরেন দুঃখ ভুলে গিয়ে আর্জেন্টিনা এখন পরিণত হয়েছে উৎসবের দেশে।
শহরের প্রাণকেন্দ্র প্লাজা দেলা রিপাবলিকা অঞ্চলে সারা রাত উৎসব চলেছে। করোনা আক্রান্ত হয়ে ৯৮০০০ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন আর্জেন্টিনায়। কিন্তু আনন্দের এই পূর্ণ লগ্নে ওসব ভুলে গিয়েছেন তাঁরা। শুধুই উৎসব এবং আনন্দ, দেশকে সেরা হতে দেখার গর্ব, আর্জেন্টিনার মানুষ যেন স্বপ্নের দেশে রয়েছেন। এই ঘোর কাটতে সময় লাগবে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: EURO 2020 Copa 2021, Euro Cup 2020