পি কে চলে গিয়েছিলেন এবার চলে গেলেন চুনীও, ভারতীয় ফুটবলে সমাপ্ত এক সোনালি অধ্যায়

Last Updated:

সময়ের ব্যবধানটা প্রায় এক মাসের পিকে চলে গিয়েছিলেন এবার চলে গেলেন চুনীও ...

#কলকাতা: কলকাতা ময়দানে এক অসীম নিঃসঙ্গতা -শূন্যতা ৷ শেষ হয়ে গেল একটা সোনালি অধ্যায় ৷ এক মাস দশ দিন আগের দিনটা ২০ মার্চ সেদিন নিভে গিয়েছিল প্রদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের জীবন প্রদীপ আর ৩০ এপ্রিল বিবর্ণ হয়ে গেল চুনীর রঙ ৷ চলে গেলেন সুবিমল চুনী গোস্বামী ৷
১৯৩৬ সালের ২৩ জুন জলপাইগুড়িতে জন্মেছিলেন প্রবাদপ্রতিম ফুটবলার ও কোচ প্রদীপ কুমার বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ফুটবলের হাত ধরে ময়দানে আসার পরই প্রদীপ কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম বদলে হয় পিকে বন্দ্যোপাধ্যায় বা ময়দানের বড় প্রিয় পিকে দা হয়ে ওঠেন এই ফুটবলের হাত ধরেই ৷ তিনি শুধুমাত্র ফুটবলার বা কোচ নন, তিনি একজন ব্যক্তিত্ব একটা বর্ণময় অধ্যায় ৷ অন্যদিকে চুনী জন্মেছিলেন বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জে ৷ ১৯৩৮ সালের ১৫ জানুয়ারি তাঁর জন্ম হয়েছিল ৷ মাত্র আট বছর বয়সে মোহনবাগান জুনিয়র দলে যোগ দেন ৷ তারপর থেকে আস্তে আস্তে পেশাদার ফুটবলার হয়ে ওঠা সুবিমল নামের সেই ছেলে হয়ে ওঠেন দিকপাল স্ট্রাইকার চুনী ৷
advertisement
ময়দানে আসলে একটা একটা সংস্কৃতি ৷ বাড়িতে যেমন সকলের একটা অন্য ঘরোয়া নাম থাকে ঠিক তেমনিই কলকাতা ময়দানও তাঁর ছেলেদের ঘরের ছেলেই মনে করে তাই তাঁরা পরিচিত হন নিজেদের ঘরোয়া নামের মতো আলাদা একটা নামে ৷ যে নামটা দিয়ে প্রজন্মের পর প্রজন্ম তিনি পরিচিত হয়ে ওঠেন ৷
advertisement
Photo- Collected Photo- Collected
advertisement
মাঠে নম্বরের পরিসংখ্যান সাফল্যের পরিসংখ্যানেও পিকে -চুনীর নাম উচ্চারিত হয় একইসঙ্গে আর এক মাসের আড়াআড়িতে চলে যাওয়ায় সেই অধ্যায়ই যেন সিলমোহর পড়ে গেল ৷
সাফল্যের নিরিখেও সেই একই রকম সমান সমান পাল্লাতেই এই দুই তারকা ৷
খেলোয়াড় হিসেবে যাত্রা শুরু অবশ্য বাংলা থেকে নয় বিহার থেকে ৷ বাংলায় এসে এরিয়ান ও পরে ইন্ডিয়ান রেলওয়েজের হয়ে খেলেছিলেন তিনি ৷ শুধু ক্লাব ফুটবলই নয় জাতীয় দলের হয়েও খেলেছেন তিনি ৷ জাতীয় দলের জার্সিতে  ১৯৫৫ থেকে ১৯৬৭ অবধি খেলেছিলেন প্রদীপ কুমার বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ ৮৪টি ম্যাচ খেলে ৬৫ গোল ছিল তাঁর, খেলতেন মূলত স্ট্রাইকার হিসেবে ৷ ১৯৬৪ এশিয়ান গেমসের সোনাজয়ী দলের সদস্য ছিলেন তিনি ৷ এশিয়ান গেমসের ম্যাচে ৪ টি গোল করেছিলেন পিকে ৷ তবে এর আগে ১৯৬০ - এ অলিম্পিক গেমসে ভারতীয় দলের অধিনায়কের সম্মান পেয়েছিলেন তিনি ৷
advertisement
ফুটবলার হিসেবে কলকাতার দুই ঐতিহ্যশালী ক্লাবে খেলা না হলেও কোচিং করিয়ে খ্যাতির শিখরে উঠেছেন পিকে ৷ ইস্টবেঙ্গলের হাত ধরে কোচিং জীবনের শুরু, তবে সবুজ-মেরুন কোচ হিসেবে তাঁর সাফল্য সবচেয়ে বেশি। একই বছরে আইএফএ শিল্ড, রোভার্স কাপ, ডুরান্ড কাপ জিতে মোহনবাগানকে ত্রিমুকুট এনে দিয়েছিলে তিনি ৷
advertisement
একইরকমভাবে চুনীর ফুটবল মাঠের পারফরম্যান্সও ঈর্ষণীয় ৷ জাতীয় দলে তাঁর শুরুটা ১৯৫৬ সালে চিনের দলের বিরুদ্ধে। অলিম্পিক্স, এশিয়ান গেমস, এশিয়া কাপ এবং মারডেকা কাপে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেছেন তিনি। এই স্ট্রাইকারের নেতৃত্বেই ১৯৬২ সালে জাকার্তা এশিয়াডে দক্ষিণ কোরিয়াকে ২-১ গোলে হারিয়ে ফুটবলে সোনা জিতেছিল পিকে-চুনীর ভারত।
এছাড়াও ১৯৬৪ সালে অধিনায়ক হিসাবে ইজরায়েলে অনুষ্ঠিক এশিয়ান কাপে রানার্স হয়েছিল ভারতীয় ফুটবল দল। ১৯৬৪ সালে কুয়ালালামপুরে মারডেকা কাপেও রানার্স হয় চুনী গোস্বামীর নেতৃত্বাধীন ভারত। জাতীয় দলের জার্সিতে ৫০ এর বেশি ম্যাচ খেলেছেন। ১৩টি গোল করেছেন তিনি। ১৯৫৮ সাল থেকে ১৯৬৪ সাল পর্যন্ত ১৬ টি ম্যাচে ভারতীয় ফুটবল দলের নেতৃত্ব সামলেছেন।
advertisement
এদিকে জাতীয় দলের পাশাপাশি ১৯৫৪ থেকে ১৯৬৮ অবধি মোহনবাগানের জার্সি গায়ে খেলেন চুনী ৷ সবুজ মেরুণ জার্সিতে মোট গোলের সংখ্যা ২০০ ৷ সন্তোষ ট্রফিতে বাংলার জার্সিতে গোল করেছেন ২৫ টি ৷
পিকে আর চুনীর মধ্যে অমিল একটাই পিকে পেশাদার ফুটবলার জীবন শেষ করার পর সফল ভাবে কোচিংয়ে এসেছিলেন ৷ কিন্তু চুনী আর শিক্ষাদানের পাঠ দেওয়ার কাজ নেননি ৷ তিনি নিজেকে জীবনের বহুমুখিতায় ডুবিয়ে দিয়েছিলেন ৷ কখনও অভিনয় , কখনও কলকাতার শেরিফের দায়িত্ব পালন বা কখনও আবার জীবনকে উপভোগ এ সব নিয়েই চুনীর মতোই বর্ণময় ছিলেন চুনী গোস্বামী৷
advertisement
ময়দানের তাই এদিনে দাঁড়িয়ে একটাই মত যদি মৃত্যুর পর কোনও জীবন থেকে থাকে তাহলে সেখানে দেখা হয়েছে দুই তারকা-র , দুই বন্ধুর-দেখা হয়েছে পিকে -চুনীর ৷
view comments
বাংলা খবর/ খবর/খেলা/
পি কে চলে গিয়েছিলেন এবার চলে গেলেন চুনীও, ভারতীয় ফুটবলে সমাপ্ত এক সোনালি অধ্যায়
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement