হোম /খবর /দক্ষিণবঙ্গ /
অমর্ত্য সেনকে হাজিরার নোটিশ বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের! বয়ান নিয়ে শুরু বড় বিতর্ক

Amartya Sen: অমর্ত্য সেনকে হাজিরার নোটিশ বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের! বয়ান নিয়ে শুরু বড় বিতর্ক

Amartya Sen: ১৯৪৩ সালে অমর্ত্য সেনের বাবা প্রয়াত আশুতোষ সেনের নামে ৯৯ বছরের জন্য এই জমি ইজারা দেওয়া হয়েছিল৷ পরবর্তীতে ২০০৫ সালে এই জমি অমর্ত্য সেনের নামে মিউটেশন হয়৷

  • Share this:

বীরভূম: নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনকে শো কজ ও এক প্রকার হুমকি নোটিশ দিল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। ২৯ মার্চ  ৯০ বছর বয়সি 'ভারতরত্ন'কে সশরীরে বিশ্বভারতীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হাজিরার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। তিনি তাঁর প্রতিনিধি পাঠাতে পারবেন, সে কথাও উল্লেখ করা হয়েছে নোটিশে৷ এক কথায় ১৩ ডেসিমেল জমি ফেরত না দিলে অমর্ত্য সেনের বিরুদ্ধে মামলার হুঁশিয়ারি দিল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।

বিশ্বভারতী প্রতিষ্ঠায় কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সহযোগী ছিলেন পণ্ডিত ক্ষিতিমোহন সেন। তিনি নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের দাদু৷ এমনকী, অমর্ত্য সেনের নামকরণ স্বয়ং বিশ্বকবি করেছিলেন৷ কবিগুরুর সময় থেকেই শান্তিনিকেতনের 'প্রতীচী' বাড়িতে বসবাস করছে সেন পরিবার৷ ১৯৪৩ সালে অমর্ত্য সেনের বাবা প্রয়াত আশুতোষ সেনের নামে ৯৯ বছরের জন্য এই জমি ইজারা দেওয়া হয়েছিল৷ পরবর্তীতে ২০০৫ সালে এই জমি অমর্ত্য সেনের নামে মিউটেশন হয়৷ বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, 'প্রতীচী'-তে ১৩ ডেসিমেল জমি অতিরিক্ত দখল করে রাখা হয়েছে।

এই মর্মে জমি ফেরত চেয়ে অধ্যাপক সেনকে তিনটি চিঠি দিয়েছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। এমনকী, ভারতরত্ন অমর্ত্য সেনকে নিশানা করে একাধিক মন্তব্য করতেও শোনা গিয়েছে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে৷ বাবার উইল অনুযায়ী ১.৩৮ একর জমি রেকর্ড করে দেওয়ার আবেদন জানিয়ে বোলপুর ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরে চিঠি দিয়েছেন অমর্ত্য সেনের আইনজীবী গোরাচাঁদ চক্রবর্তী। সেই মতো দু'দিন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ ও তাদের আইনজীবীদের উপস্থিতিতে শুনানিও হয়৷ কিন্তু কাটেনি জমি জট৷

আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতির মূল মাথা কে? ইডি-কে জানিয়ে দিলেন শান্তনু! তোলপাড়, এবার তবে কাকে ডাক?

আরও পড়ুন: গ্রেফতার হয়ে কোর্টের মধ্যেই বেনজির কাণ্ড ঘটালেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি! বিজেপি নেতাকে দেখে অবাক সকলে

এ বার অমর্ত্য সেনকে জমি ফেরত না দিলে মামলা করার হুমকির সুরে নোটিশ দিল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। এই শো কজ নোটিশে বলা হয়েছে, 'এটা বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতিষ্ঠিত বিশ্বভারতী৷ এখানকার দখলকৃত জমি উদ্ধার করার দায়িত্ব বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের। কারণ এটি জাতীয় সম্পদ। তাই ১৩ ডেসিমেল জমি ফেরত দেওয়া হোক। বিশ্বভারতীর পড়ুয়া, কর্মী, আধিকারিক, অধ্যাপক-অধ্যাপিকাদের স্বার্থে জমি উদ্ধারে ব্রতী বিশ্বভারতী।'

নোটিশে আরও বলা হয়েছে, '১৩ ডেসিমেল জমি ফেরত না দিলে ১৯৭১ সালের উচ্ছেদ আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা কেন নেওয়া হবে না?' অর্থাৎ, অমর্ত্য সেনকে শো কজ করেছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি, ২৯ মার্চ বিশ্বভারতীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনার জন্য সশরীরে অমর্ত্য সেনকে হাজির থাকার কথা বলা হয়েছে৷ তিনি থাকতে না পারলে প্রতিনিধি পাঠাতে পারেন সে কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। যদি অধ্যাপক সেন বিষয়টি এড়িয়ে যান তা হলে একপক্ষ শুনানি ধরে নিয়ে মামলার পথে যাবে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।

ইন্দ্রজিৎ রুজ

Published by:Sanchari Kar
First published:

Tags: Amartya Sen, Visva-Bharati University