হয়ে উঠেছিল ভগ্নপ্রায়, নিজেদের অর্থে ডাকঘর গড়লেন বাসিন্দারা... চমকে উঠল গোটা গ্রাম

Last Updated:

১৮৮২ সালে চালু হয়েছিল এই ডাকঘর। গ্রামের বাসিন্দারা উদ্যোগী হয়ে সাড়ে চার লক্ষ টাকা খরচ করে পাকা ভবন তৈরি করে দিলেন।

ছিঁড়ে পড়ে যাচ্ছিল তাল গাছের কড়িকাঠ। টিনের চাল দিয়ে জল পড়ছিল অনেকদিন ধরেই। মাটির দেওয়ালে উই পোকার বাসা। মাটি ছেড়ে ছেড়ে পড়ছিল। তেমনই বেহাল অবস্হা চেয়ার টেবিলের।একেবারে ভগ্নপ্রায় অবস্থা হয়ে গিয়েছিল মাধবডিহির ছোট বৈনান গ্রামের ডাকঘরের। এই ডাকঘরটি থেকে স্থানীয় চার-পাঁচটি গ্রামের বাসিন্দারা  পরিষেবা পেয়ে থাকেন। অথচ সেই ডাকঘর বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছিল। কিন্তু তা হতে দিলেন না গ্রামবাসীরা।
১৮৮২ সালে চালু হয়েছিল এই ডাকঘর। গ্রামের বাসিন্দারা উদ্যোগী হয়ে সাড়ে চার লক্ষ টাকা খরচ করে পাকা ভবন তৈরি করে দিলেন। রবিবার সেই ঘরের উদ্বোধন করে ডাকবিভাগের বর্ধমানের ফাস্ট সাব ডিভিশনের মেল ওভারসিয়ার লক্ষ্মণচন্দ্র খান বলেন, ‘সরকারিভাবে কিছু করতে পারিনি। গ্রামবাসীরাই উদ্যোগী হয়ে এই ঘরটি তৈরি করে দিয়েছেন। এখান থেকে যাতে সব রকম পরিষেবা দেওয়া যায়, তার চেষ্টা করা হবে।’
advertisement
কেন্দ্রীয় সরকারের বিধি অনুযায়ী, গ্রামীণ ডাকঘরের পরিষেবার ব্যবস্থা থাকলেও পরিকাঠামোগত উন্নয়নের জন্যে কোনও খরচ করা যাবে না। ওই ডাকঘরের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক বাড়ি থেকেই পরিষেবা দিতে পারবেন বা ভাড়া করে কোনো ঘর নিয়ে পরিষেবা দিতে পারেন। সে জন্যে ১৮৮২ সালে তৈরি ডাকঘরের পরিকাঠামো ভেঙে পড়লেও কেন্দ্রীয় সরকারের ডাক ও তার বিভাগ পরিকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য টাকা দিতে পারবে না বলে জানিয়ে দেয়। এ দিকে, ডাকঘর অচল হয়ে গেলে বা পাশের কোনও গ্রাম জায়গা দিলে ১৪০ বছরের পুরনো ডাকঘরের ‘ঐতিহ্যে’ ধাক্কা খাবে।
advertisement
advertisement
এলাকায় আর কোনও ব্যাঙ্ক না থাকায় গ্রাহকরা ডাকঘর পরিষেবা থেকেও বঞ্চিত হবেন।এ সব কথা ভেবে গ্রামেরই ‘যুবগোষ্ঠী’ নামে একটি সংগঠন ভেঙে পড়া ডাকঘরকে পাকা করার জন্যে উদ্যোগী হয়। ডাকঘরের এলাকাভুক্ত ছোট বৈনান ছাড়াও মাধবডিহি থানার মোমরেজপুর, খাঁহার, মিটুনি গ্রামের বাসিন্দাদের সাহায্যে ডাকঘরটিকে পাকা করা হয়।  মূল উদ্যোগী স্থানীয় ছোট বৈনান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক দেবনাথ নন্দী। তিনি বলেন, যার যা সামর্থ্য, সে ভাবেই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। সাড়ে চার লক্ষ টাকা খরচ করে ডাকঘর পাকা করা হয়েছে।  প্রায় আটশো সাড়ে আটশো জন নারী পুরুষ ৫০ টাকা থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত ডাকঘর তৈরিতে সাহায্য করেছেন বলে জানা গিয়েছে।
advertisement
এই ডাকঘরে অ্যাকাউন্ট দু’হাজারের মতো। বিধি অনুযায়ী, একটি শাখাকে বাঁচাতে গেলে আড়াই হাজারের মতো সচল অ্যাকাউন্ট রাখতে হবে। তাই আমানতকারী যাতে বাড়ানো যায় সেই চেষ্টাও শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাসিন্দারা। অনেকেই নিজের ও পরিবারের সদস্যদের নামে অ্যাকাউন্ট খোলার পরিকল্পনা নিয়েছেন। গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, অনেক আশা নিয়ে অনেক কষ্ট করে ডাকঘরটির সংস্কার করা হয়েছে। একে কোনও ভাবেই বন্ধ হতে দেওয়া যাবে না।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
হয়ে উঠেছিল ভগ্নপ্রায়, নিজেদের অর্থে ডাকঘর গড়লেন বাসিন্দারা... চমকে উঠল গোটা গ্রাম
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement