কাটোয়া : কালনা কাটোয়ার গঙ্গা তীরবর্তী এলাকাকে পর্যটন মানচিত্রে স্থান দিতে উদ্যোগী হল জেলা প্রশাসন। সেখানে মন্দির থেকে শিল্প সব কিছুর উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। আপাতত এ ব্যাপারে ব্লকগুলি থেকে রিপোর্ট চাওয়া হচ্ছে। সেসব একত্রিত করে পরিকল্পনা তৈরি করে রাজ্য সরকার-সহ সংশ্লিষ্ট সব জায়গায় পাঠানো হবে। পর্যটকদের থাকার জন্য তৈরি হবে কটেজ। বাড়ানো হবে পর্যটন পরিকাঠামো।
গঙ্গা লাগোয়া যে সমস্ত এলাকায় পর্যটনের সম্ভাবনা রয়েছে, তা নিয়েই এই পরিকল্পনা তৈরি করতে উদ্যোগী হয়েছে প্রশাসন। এ ব্যাপারে কালনা মহকুমা শাসকের কার্যালয়ে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়। ছিলেন বর্ধমান পূর্ব কেন্দ্রের সাংসদ সুনীল মণ্ডল, মহকুমাশাসক সুরেশ কুমার জগৎ, কালনার পুরপ্রধান আনন্দ দত্ত, উপ-পুরপ্রধান তপন পোড়েল, জেলা পরিষদের সদস্য তথা পূর্বস্থলীর ইতিহাস গবেষক দেবাশিস নাগ। পরিযায়ী পাখি থেকে স্থাপত্য, নৌকাবিহার থেকে তাঁত শিল্প, পর্যটকদের টানার জন্য বহু উপকরণ রয়েছে বলেও জানান তাঁরা।
আরও পড়ুন : ফোড়নের নাম রাঁধুনি, বাঙালি হেঁসেলের এক ও অদ্বিতীয় এই মশলার অঢেল গুণাগুণ জানুন
কালনা মহকুমায় গঙ্গা লাগোয়া চারটি ব্লক রয়েছে। বৈঠকে জানানো হয়, কোন ব্লকে পর্যটনের সম্ভাবনা কেমন, তা নিয়ে রিপোর্ট তৈরি করা হবে। কটেজ, রাস্তা, বিপণনকেন্দ্র-সহ পর্যটকদের জন্য কী কী পরিকাঠামোর প্রয়োজন রয়েছে, তা দেখা হবে। ব্লক প্রশাসন সেই রিপোর্ট জমা দেবে মহকুমাশাসককে।
আরও পড়ুন : 'না মরে বেঁচে আছি!' কেন এমন আক্ষেপ এই কুটির শিল্পের কারিগরদের
সাংসদ সুনীল মণ্ডল জানান, কাটোয়া থেকে কালনা পর্যন্ত আটটি ব্লকেই পর্যটকদের জন্য নানা পরিকাঠামো তৈরির কথা ভাবা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সংসদেও আলোচনা হয়েছে। আপাতত ব্লকের পাঠানো রিপোর্ট পর্যালোচনা করে আর একটি রিপোর্ট তৈরি করা হবে। তা পাঠানো হবে মুখ্যমন্ত্রী-সহ নানা জায়গায়। তিনি বলেন, পর্যটকদের জন্য একশো থেকে দেড়শোটি কটেজ গড়ার ভাবনা রয়েছে। ভাগীরথীতে ড্রেজিং করে লঞ্চ চলাচল সহজ করার কথাও ভাবা হয়েছে। সে ক্ষেত্রে দক্ষিণেশ্বর পর্যন্ত পর্যটক এবং সাধারণ মানুষের যাতায়াত বেড়ে যাবে। পরিকল্পনা মাফিক এগোলে ধাত্রীগ্রামের তাঁত শিল্পও পর্যটকদের কাছে তুলে ধরা যাবে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।