Cottage Industry: 'না মরে বেঁচে আছি!' কেন এমন আক্ষেপ এই কুটির শিল্পের কারিগরদের
- Published by:Arpita Roy Chowdhury
- hyperlocal
- Written by:Bangla Digital Desk
Last Updated:
Cottage Industry: প্লাস্টিক পণ্য স্বল্পমূল্যে হাতের নাগালে পাওয়া যাওয়ার ফলে অবলুপ্তি হতে চলেছে এই কুটির শিল্প। পাশাপাশি করোনা কালে কাজ হারিয়ে সেই থেকে এখনো মাথা ঠেলে উঠতে পারেননি বাঁশ বেত শিল্পীরা।
জুলফিকার মোল্যা, বসিরহাট: "না মরে বেঁচে আছি!" ঠিক এভাবেই বললেন এক বাঁশ-বেত শিল্পী৷ কিন্তু কেন! আধুনিকতার ছোঁয়ায় প্রাচীন শিল্পের অন্যতম বাঁশ বেত শিল্প বিলুপ্তির পথে। যান্ত্রিক যুগে হারিয়ে যাচ্ছে নানা শিল্প ও শিল্পকর্ম। সময়ের সঙ্গে সঙ্গেহারিয়ে যাচ্ছে বাঁশ বেত শিল্প। বর্তমানে প্লাস্টিকের তৈরি গৃহস্থের সরঞ্জাম তৈরি হওয়ায় বাঁশের তৈরি পণ্যের আর কদর নেই বললেই চলে। আর এর ফলের উত্তর ২৪ পরগণা জেলার বসিরহাটের বাদুড়িয়ার চণ্ডীপুর দাস পাড়ার বাঁশ বেত শিল্পীরা কাজ হারাতে বসেছেন।
একসময় গ্রাম্য এলাকায় বিভিন্ন জায়গায় বাঁশ ঝাড়ের দেখা মিলত। কিন্তু সময়ের ব্যবধানে ধীরে ধীরে হারিয়ে যেতে চলেছে সেই ছবি। প্লাস্টিক ও অন্যান্য বিভিন্ন সামগ্রীর কদর বেড়ে যাওয়ার ফলে এসব কুটির শিল্পের চাহিদা এখন আর নেই। বাজার দখল করেছে প্লাস্টিক ও অ্যালুমিনিয়ামের তৈরি নানা জাতের আসবাবপত্র। প্লাস্টিক পণ্য স্বল্পমূল্যে হাতের নাগালে পাওয়া যাওয়ার ফলে অবলুপ্তি হতে চলেছে এই কুটির শিল্প। পাশাপাশি করোনা কালে কাজ হারিয়ে সেই থেকে এখনো মাথা ঠেলে উঠতে পারেননি বাঁশ বেত শিল্পীরা। এই জীবিকাকেই প্রধান বাহক হিসাবে আঁকড়ে রেখেছেন স্থানীয় প্রায় ৫০টি পরিবার।
advertisement
আরও পড়ুন : স্বয়ং মা দুর্গা হাজির কলকাতা বিমানবন্দরে, যাওয়া আসার পথে নিন তাঁর আশীর্বাদ
বাঁশ বেতই বর্তমানে তাঁদের জীবিকার প্রধান বাহক। কিন্তু দিন দিন বাঁশের তৈরি বিভিন্ন পণ্যের চাহিদা কমে যাওয়ায় ভাল নেই এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত কারিগররা। জীবন জীবিকার তাগিদে তবুও পূর্বপুরুষদের এই পেশাকে এখনও ধরে রেখেছে পরিবারগুলি। বাঁশ-বেতের কারিগর মাধব দাস জানান, " বর্তমানে বেতের কাজ আর নেই বললেই চলে। তবে বাঁশের কিছু জিনিসপত্র বানাই। সংসার চলে তবে মাছ ভাত না জুটলেও ডাল আলু ভাত খেতে পাচ্ছি।"
advertisement
Location :
Kolkata,West Bengal
First Published :
March 10, 2023 12:40 PM IST
বাংলা খবর/ খবর/উত্তর ২৪ পরগণা/
Cottage Industry: 'না মরে বেঁচে আছি!' কেন এমন আক্ষেপ এই কুটির শিল্পের কারিগরদের