East Medinipur News: ময়না-তদন্তের রিপোর্ট পেতে হিমশিম, সমস্যায় মৃতের পরিজনরা!

Last Updated:

East Medinipur News: মারা যাওয়ার পর ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেতে পরিবারের লোকজনকে বারবার সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। মৃত ব্যক্তির ডেথ সার্টিফিকেট তৈরিতে সময় লাগছে। আর তার ফলেই সমস্যায় পড়েছে মেতের পরিজনেরা।

+
ময়নাতদন্তে

ময়নাতদন্তে রিপোর্ট না পেয়ে হাসপাতালে সামনে মৃতের পরিজনেরা

তমলুক, সৈকত শী: মারা যাওয়ার পর ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেতে পরিবারের লোকজনকে বারবার সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। মৃত ব্যক্তির ডেথ সার্টিফিকেট তৈরিতে সময় লাগছে। আর তার ফলেই সমস্যায় পড়েছে মৃতের পরিজনেরা। কারণ জীবনবিমা সহ নানান সরকারি গ্রান্ট পাওয়ার ক্ষেত্রে মৃত ব্যক্তির ডেথ সার্টিফিকেট প্রয়োজন। কিন্তু মারা যাওয়ার পর শুধুমাত্র ময়নাতদন্তে রিপোর্টের জন্য সময় লাগছে মৃতের সার্টিফিকেট তৈরিতে। দুশ্চিন্তায় পড়েছে মৃতের পরিবারের লোকজনেরা। তাম্রলিপ্ত গভর্নমেন্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্তে রিপোর্ট পেতে এবার বিক্ষোভ দেখাল মৃতের পরিজনেরা।
একদিকে স্বজন হারানোর শোক, অন্যদিকে আইনি জটিলতা। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তম্রলিপ্ত গভর্নমেন্ট মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল থেকে বারে বারে ঘুরে গিয়েও মিলছে না মৃতদেহের ময়না-তদন্তের (পোস্টমর্টেম) রিপোর্ট। এর ফলে চূড়ান্ত হয়রানির শিকার হচ্ছেন মৃতের পরিবার পরিজনেরা। ডেথ সার্টিফিকেট, জীবন বীমা, দুর্ঘটনার ক্ষতিপূরণের দাবি (রোড এক্সিডেন্ট ক্লেম), এমনকি ওয়ারিশন সার্টিফিকেট-এর মত গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলিও দীর্ঘদিন ধরে আটকে রয়েছে। অভিযোগের মূল কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন তাম্রলিপ্ত মেডিকেল কলেজের সংশ্লিষ্ট ময়না-তদন্তকারী চিকিৎসক।
advertisement
advertisement
মৃত ব্যক্তির আত্মীয়-স্বজনদের দাবি, পোস্টমর্টেম সম্পন্ন হলেও রিপোর্ট দিতে দিনের পর দিন সময় নেওয়া হচ্ছে। এমনকি সময় গড়িয়ে যাচ্ছে দিন পেরিয়ে মাসের পর মাস। বারবার ফিরে যাচ্ছেন মৃতের পরিজনরা, কাঠগড়ায় তম্রলিপ্ত হাসপাতালের এক চিকিৎসক। জানা গিয়েছে, রিপোর্টটি হাতে পাওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই একাধিকবার মেডিকেল কলেজে এসেছেন মৃতের অসহায় পরিজনরা। কিন্তু প্রতিবারই খালি হাতে ফিরে যেতে হয়েছে তাঁদের। ক্ষুব্ধ পরিজনদের একজন বলেন, “যতক্ষণ না রিপোর্ট পাচ্ছি, আমাদের কিছুই করার নেই। সব কাজ আটকে রয়েছে। ডাক্তারবাবুর কাছে গেলেই শুধু ঘোরাচ্ছেন।”
advertisement
বারবার ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে না পেয়ে বাড়ি ফিরে যাওয়ায় ক্ষুব্ধ মৃতের আত্মীয়-স্বজনেরা হাসপাতাল থেকে চিকিৎসক বেরোতেই তাঁর পিছু ধাওয়া। চাপান-উতর চরমে উঠলে ওই চিকিৎসক জানান, রিপোর্ট দিতে দেরি হওয়ার কারণ হল – প্রিন্টার খারাপ! চিকিৎসকের আজব যুক্তি শুনে হতবাক হয়ে যান সকলে! পরিস্থিতি সামাল দিতে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় তমলুক থানার পুলিশ। তাঁরা দু’পক্ষকে শান্ত করে বিষয়টির দ্রুত নিষ্পত্তির আশ্বাস দেন। একটি সরকারি হাসপাতালের গুরুত্বপূর্ণ রিপোর্ট কেবলমাত্র প্রিন্টার খারাপ থাকার কারণে আটকে থাকতে পারে! এই ঘটনায় তাম্রলিপ্ত গভার্নমেন্ট মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালের কর্তৃপক্ষের গাফিলতির রয়েছে বলে অভিযোগ সাধারণ মানুষের।
advertisement
প্রশ্ন উঠেছে, কেন রিপোর্ট প্রস্তুতির বিকল্প ব্যবস্থা রাখা হয়নি? অবিলম্বে এই সমস্যার সমাধান না হলে আরও বড় আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন হয়রানির শিকার পরিবার পরিজনেরা। যদিও এই বিষয়ে তাম্রলিপ্ত গভর্নমেন্ট মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালের কর্তৃপক্ষরা মুখ খুলতে নারাজ। দিনের পর দিন ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে না পাওয়ায় এদিকে সমস্যায় পড়েছে সাধারণ মানুষ। আটকে রয়েছে জীবনবিমা-সহ নানান গ্রান্ট।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
East Medinipur News: ময়না-তদন্তের রিপোর্ট পেতে হিমশিম, সমস্যায় মৃতের পরিজনরা!
Next Article
advertisement
Cyclone Senyar Update: উত্তর-পশ্চিমে ক্রমশ এগোচ্ছে নিম্নচাপ, বুধবারের মধ্যে এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে! বাংলায় এর কী প্রভাব পড়তে পারে, জেনে নিন
উত্তর-পশ্চিমে ক্রমশ এগোচ্ছে নিম্নচাপ, বুধবারের মধ্যে এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে !
  • ক্রমশ উত্তর-পশ্চিমে এগোচ্ছে নিম্নচাপ !

  • বুধবারের মধ্যে ধেয়ে আসতে পারে ঘূর্ণিঝড়?

  • জেনে নিন বঙ্গে এর কী প্রভাব পড়তে পারে

VIEW MORE
advertisement
advertisement