Bankura: সদ্যোজাতকে তুলে নিয়ে গেল কুকুর! বাঁকুড়ার হাসপাতালে শিউরে ওঠা অভিযোগ

Last Updated:

Bankura: একটি কুকুর ওই অপরিনিত ভ্রূণকে মুখে করে নিয়ে ছুটে বেরিয়ে যাচ্ছে। কুকুরের পেছনে ধাওয়া করেও সেই অপরিনিত ভ্রূণকে ফেরানো যায়নি বলেই পরিবারের অভিযোগ।

সদ‍্যজাত শিশুকে মুখে তুলে নিয়ে গেল কুকুর, শিউরে ওঠা ঘটনা বাঁকুড়ায়
সদ‍্যজাত শিশুকে মুখে তুলে নিয়ে গেল কুকুর, শিউরে ওঠা ঘটনা বাঁকুড়ায়
দেবব্রত মণ্ডল, বাঁকুড়া: বাঁকুড়া জেলার সোনামুখী ব্লকের কোচডিহি গ্রামের প্রিয়া রায় নামের এক প্রসূতি মা গতকাল রাতে পেটের যন্ত্রণা নিয়ে ভর্তি হয় সোনামুখী গ্রামীণ হাসপাতালে। পরিবারের দাবি কর্তব্যরত চিকিৎসক তার ইউরিন টেস্টের কথা বলে। স্বাভাবিকভাবেই ওই প্রসূতি মা ইউরিন সংগ্রহের জন্য বাথরুমে যান। সেখানেই ওই মা তার একটি অপরিনিত ভ্রূণের জন্ম দেন।
তড়িঘড়ি পরিবারের লোকজন কর্তব্যরত নার্সদের ডাকলেও অভিযোগ নার্সরা আসতে দেরি করে। পরে ওই মাকে প্রসূতি বিভাগে নিয়ে গেলেও সদ্যোজাত সেখানেই পড়ে থাকে। কিছুক্ষণ পরে পরিবারের লোকজন ওই অপরিনিত ভ্রূণকে দেখতে এলে দেখা যায় সেখানে ওই অপরিনিত ভ্রূণ নেই, এমনই অভিযোগ পরিবারের।
advertisement
advertisement
একটি কুকুর ওই অপরিনিত ভ্রূণকে মুখে করে নিয়ে ছুটে বেরিয়ে যাচ্ছে। কুকুরের পেছনে ধাওয়া করেও সেই অপরিনিত ভ্রূণকে ফেরানো যায়নি। পরিবারের সঙ্গে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বচসা শুরু হলে ঘটনাস্থলে গতকালই পৌঁছেছিল সোনামুখী থানার পুলিশ।
এরপরই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বেবাগ বুঝে তড়িঘড়ি প্রসূতি মাকে বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতালে রেফার করে দেয়। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে হাসপাতালে নিরাপত্তা নিয়ে এবং হাসপাতালের স্টাফেদের গাফিলতি নিয়ে। সকালবেলাতেও দেখা যায় হাসপাতাল চত্বরে একাধিক পথ কুকুর ঘোরাফেরা করছে।
advertisement
তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি বিষয়টি তারা খতিয়ে দেখছেন, রাতে যারা ডিউটিতে ছিলেন তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে দেখা হবে এই ঘটনার কোনও সত্যতা রয়েছে কিনা। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে এখনও পর্যন্ত কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি এই প্রসঙ্গে।
advertisement
প্রসঙ্গত, ঘটনার পর বিষ্ণুপুর জেলা স্বাস্থ্য দফতরের একটি প্রতিনিধি দল সরজমিনে তদন্ত করলেন সোনামুখী গ্রামীণ হাসপাতালে। বিষ্ণুপুর স্বাস্থ্য জেলার দুজন ডেপুটি CMOH সোনামুখী গ্রামীণ হাসপাতালে আসে এবং প্রায় এক ঘন্টা কথা বলেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে। সংগ্রহ করেন বিভিন্ন তথ্য। সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বিষ্ণুপুর স্বাস্থ্য জেলার ডেপুটি CMOH মীনাক্ষী মাইতি, ’’জানান ওই মহিলার এক মাস দশ দিনের প্রেগনেন্সি ছিল পরিবার যা অভিযোগ করছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। পরিবারের দেওয়া ছবিটি ভুয়ো বলে অভিযোগ করেন তিনি।’’
advertisement
যদিও প্রসূতি মা প্রিয়া রায়ের দাবি তিনি পাঁচ মাস আগে থেকেই অন্ত:সত্ত্বা। কিন্তু স্থানীয় আশা দিদিমণি ভুল তথ্য দিয়েছেন বলে অভিযোগ তাঁর। এমনকি অপরিনিত শিশুর জন্মের পর তিনি দেখেছেন তার কন্যা সন্তান হয়েছে, বলেই জানিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে প্রসূতি মায়ের আত্মীয় মোহন রায়ের দাবি তিনি নিজের হাতে এই ছবি তুলেছেন।
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Bankura: সদ্যোজাতকে তুলে নিয়ে গেল কুকুর! বাঁকুড়ার হাসপাতালে শিউরে ওঠা অভিযোগ
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement