বর্ধমান: বর্ধমানকে করিডর হিসেবে ব্যবহার করছে বন্যপ্রাণী পাচারকারীরা। এমনটাই মনে করছে বন দফতর। বার বার বর্ধমান স্টেশন ও তার আশপাশে এলাকায় কখনও ট্রেন, কখনও প্ল্যাটফর্ম থেকে প্রচুর কচ্ছপ উদ্ধার হয়েছে। পাচারের সময় উদ্ধার হয়েছে সজারু। ট্রেনের কামরায় মিলেছে প্রচুর টিয়াপাখি। সেগুলি মুখ বেঁধে পাচার করা হচ্ছিল।
একের পর এক উদ্ধারের ঘটনায় বন দফতর মনে করছে, বর্ধমান এই সব প্রাণী পাচারের করিডর হয়ে উঠেছে। চোরা পথে ভিন রাজ্যে কচ্ছপ-সহ অন্যান্য বন্য প্রাণি পাচারের করিডোর হয়ে উঠেছে বর্ধমান। বর্ধমান স্টেশনে বিভিন্ন সময়ে অভিযান চালিয়ে কচ্ছপ, টিয়া পাখি -সহ নানান বন্যপ্রাণী উদ্ধার করেছে রেল পুলিশ। শনিবার তালিত রেলগেট এলাকা থেকে বিপুল পরিমাণ কচ্ছপ উদ্ধারের ঘটনা ঘটেছে। কৌশল বদল করে পিঠ ব্যাগে সেসব কচ্ছপ পাচারের মতলব করা হচ্ছিল।
বর্ধমান পর্যন্ত রেলপথে এসে সড়কপথে সেই সব কচ্ছপ পাচারের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। যে গাড়ি করে কচ্ছপ গুলি পাচার করা হচ্ছিল সেটি আটক করা হয়েছে।
গাড়িটি দক্ষিণ ২৪ পরগনা বনগাঁ এলাকার বলে জানা গিয়েছে। মালিকের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। এই ঘটনায় বন্যপ্রাণি সংরক্ষণ আইন ও অবৈধভাবে পাচারের মামলা করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া ৫৫০টি কচ্ছপ বন দফতরকে দেওয়া হয়েছে।
খাবারের উদ্দেশেই কচ্ছপ গুলি পাচার করা হচ্ছিল বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে। বর্ধমানের এডিএফও সোমনাথ চৌধুরী জানান, অধিকাংশ সময়ই দেখা যায় দেশীয় প্রজাতির কচ্ছপ গুলি পাচার করা হয়ে থাকে। কচ্ছপের মাংস খাদ্য হিসেবে বিক্রি করার জন্যই এইগুলি পাচার করা হয়। বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ আইনে যা সম্পুর্ন নিষিদ্ধ। উদ্ধার হওয়া কচ্ছপ গুলি বন দফতরের রামনাবাগান পার্কে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন, সকাল থেকেই কলকাতায় শিরশিরে ঠান্ডা ফেরত, রাজ্যে রাজ্যে জারি বৃষ্টির অ্যালার্ট
আরও পড়ুন, ‘আমরা চ্যাম্পিয়ন হয়েছি এখনও বিশ্বাসই হচ্ছে না...’, বললেন ফাইনালের সেরা তিতাস
রেল পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ভিন রাজ্য থেকে বন্যপ্রাণ পাচার করার জন্য দুষ্কৃতীরা বর্ধমান স্টেশনকেই ব্যবহার করছে। তাই রেল পুলিশের পক্ষ থেকে এই শাখার স্টেশনগুলিতে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। বাইরে রাজ্য থেকে আসা ট্রেন গুলিতে বাড়তি তল্লাশি চালানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Burdwan Station, Crime, Police, Smugglers