কালনা : লাভের আশায় চাষ করেছিলেন। কিন্তু নতুন ওঠা সেই পেঁয়াজের দাম নেই। ফলে চিন্তায় পড়েছেন পূর্ব বর্ধমান জেলার পেঁয়াজ চাষিরা। অনেকে আবার বাজার ভাল না থাকায় উৎপাদিত পেঁয়াজ বাড়িতে মজুত করছেন। তাঁরা বলছেন, সব পেঁয়াজ সংরক্ষণ করা সম্ভব নয়। তাছাড়া অনেকেরই পেঁয়াজ মজুত করে রাখার মতো পরিকাঠামো নেই। ফলে কম দামেই বিক্রি করে দিতে হচ্ছে। এক কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে আট-ন' টাকায়। ফলন ভাল হলেও দাম না থাকায় লোকসানের মুখে চাষিরা।
কৃষকরা বলছেন, সারের মূল্যবৃদ্ধির ফলে চাষের খরচ অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। ইউরিয়া ছাড়া বাকি সার এক হাজার টাকা বেশি দিয়ে কিনতে হয়েছে। পাল্লা দিয়ে বেড়েছে কীটনাশক থেকে সব খরচ। পেঁয়াজের ফলন ভাল হলেও দাম না থাকায় লোকসান হচ্ছে।
আরও পড়ুন : থরে থরে চিকেন ও চিজ ফুচকা! দম্পতি শুরু করলেন ফুচকা পার্লার
আরও পড়ুন : মহিলাদের জন্যেও আছে কন্ডোম! জেনে নিন ফিমেল কন্ডোম বা ফেমিডোমের খুঁটিনাটি
গত বছর কালনা মহকুমায় সাড়ে সাতশো হেক্টরের বেশি জমিতে পেঁয়াজ চাষ হয়েছিল। কালনা-২ ও ১ ব্লকে বেশি পেঁয়াজ চাষ হয়। প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিগত বছরগুলিতে লাভের মুখ দেখেননি পেঁয়াজ চাষিরা। এবার গতবারের থেকে বেশি পেঁয়াজ চাষ হয়েছে মহকুমা জুড়ে। আটশো হেক্টরের বেশি জমিতে পেঁয়াজ চাষ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকুল থাকায় পেঁয়াজের ফলনও ভালো হয়েছে। কিন্তু দাম উঠছে না। এক মণ পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে সাড়ে তিনশো টাকায়। বিঘে প্রতি পেঁয়াজের দাম মিলছে আঠাশ থেকে ত্রিশ হাজার টাকা। চাষে বিঘে প্রতি খরচ হয়েছে বত্রিশ থেকে পঁয়ত্রিশ হাজার টাকা। ফলে পেঁয়াজ লোকসানে বিক্রি করতে হচ্ছে চাষিদের। চাষিদের আক্ষেপ, এলাকায় পেঁয়াজ সংরক্ষণের কোনও ব্যবস্থা নেই। থাকলে পরবর্তীতে লাভের মুখ দেখা যেত।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: East Burdwan, Onion price