পুজোর আগে আরও এক উৎসব মেতে উঠল মহিষাদলবাসী

Last Updated:

 পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মহিষাদল শিল্প সংস্কৃতির দিক থেকে অনেকটাই এগিয়ে। বর্তমানে মহিষাদল পূর্ব মেদিনীপুর জেলার শিল্প সংস্কৃতিতে বিশেষ অবদান রাখছে। সেই মহিষাদলে শুরু হয়েছে নাট্য উৎসব।

+
মহিষাদল

মহিষাদল একটি নাটকের দৃশ্য

মহিষাদল, সৈকত শী: বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গোৎসব। উৎসবকে ঘিরে অনন্দে মেতে ওঠে আট থেকে আশি সব বয়সের মানুষ। পুজোর প্রাক মুহুর্তে পশ্চিমবঙ্গ নাট্য অ্যাকাডেমির সৌজন্যে মহিষাদল মল্লার নাট্যগোষ্ঠীর ব্যবস্থাপনা নাট্যোৎসব আয়োজন। মহিষাদল রবীন্দ্র পাঠাগারে নাট্যোৎসব শুরু হয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মহিষাদল শিল্প সংস্কৃতির দিক থেকে অনেকটাই এগিয়ে। বর্তমানে মহিষাদল পূর্ব মেদিনীপুর জেলার শিল্প সংস্কৃতিতে বিশেষ অবদান রাখছে। সেই মহিষাদলে শুরু হয়েছে নাট্য উৎসব। নাট্য উৎসবের উদ্বোধন করেন পশ্চিমবঙ্গ নাট্য অ্যাকাডেমির সদস্য সুরজিৎ সিনহা। উপস্থিত ছিলেন হরিপদ মাইতি, শুভময় দাস, সুবিকাশ মুখার্জি, সহ অন্যান্যরা।
প্রতিদিন বিকেল ৫ টা থেকে রাত্রি ৯ পর্যন্ত পর পর তিনটি নাটক পরিবেশিত হচ্ছে। জেলার বিভিন্ন প্রান্তের মোট ছ’টি নাটকের দল তাদের নাটক পরিবেশন করছে। প্রথম দিন নাট্য উৎসবে পরিবেশিত হয়, মহিষাল রাজ কলেজ কর্তৃক নাটক ‘চোখে আঙ্গুল দাদা’, দ্বিতীয় দর্শনে মহিষাদল সমকালের নাটক ‘এত বড় রঙ্গ’, তৃতীয় নাটক মহিষাদল শিল্পকৃতি ‘সেই স্বপ্নপুর’। ১২ সেপ্টেম্বর শুক্রবার প্রথম দর্শনে মহিষাদল গার্লস কলেক কর্তৃক পরিবেশিত হয় ‘আপনাদের সাহায্য চাই, দ্বিতীয় দর্শনে লক্ষ্যা পদাতিকের নাটক ‘ভাঙা মানুষের গান’, তৃতীয় দর্শনের শেষ নাটক মল্লার নাট্যগোষ্ঠীর নাটক ‘অন্বেষণ’।
advertisement
advertisement
নাট্য অ্যাকাডেমির সদস্য অভিনেতা, পরিচালক সুরজিৎ সিনহা জানান, “পুজোর সময় নাট্য প্রেমী মানুষজনকে আনন্দ দিতে নাট্যোৎসব খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। নাট্যোৎসবে জেলার কলেজগুলি অংশগ্রহণ করায় বেশ ভাল লাগছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যস্ততার মাঝে নাটক মানুষের মনে স্থান পাক এটাই চাইব।” মহিষাদল নাট্যগোষ্ঠীর অন্যতম সদস্য শশাঙ্ক মাইতি জানান, “বর্তমান প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা যখন সোশ্যাল মিডিয়ায় সময় নষ্টে ব্যস্ত তখন তাদের নাটকের প্রতি আগ্রহ বাড়িয়ে তুলতে আমাদের এই প্রয়াস। কলেজের পড়ুয়া থেকে অধ্যাপকদের উদ্যোগে গঠিত নাট্যদল পরিবেশন করবে তাদের নাটক। যা বর্তমান সমাজের দৃষ্টান্ত বলে মনে করছি।”
advertisement
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
একসময় গ্রামবাংলায় নাটক থিয়েটার প্রভৃতি ছিল বিনোদনের মাধ্যম। বর্তমানে বিনোদনের মাধ্যম অনেক বদলেছে। নাটক সেভাবে আর কোথাও পরিবেশিত হচ্ছে না। নাটক মানুষের মনন ও চিন্তনে গভীর প্রভাব ফেলে। কারণ নাটক রচিত হয় সমকালীন বিভিন্ন বিষয়ের ওপর। সমাজ ও পরিবেশের ওপর নাটক অনেকটাই প্রভাব ফেলে। ফলে বর্তমান সময়ের নাটকের গুরুত্ব রয়েছে। প্রাক পুজোর সময় মহিষাদলে এই নাট্য উৎসব সাধারণ মানুষের মনে ধরেছে।
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
পুজোর আগে আরও এক উৎসব মেতে উঠল মহিষাদলবাসী
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement